🐼কাঙ্ক্ষিত সফল্য আসেনি অভিনেতা হিসাবে, তবে জিতেন্দ্রর পুত্র হওয়ার সুবাদে কেরিয়ারের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছেন তুষার কাপুর। ৪৭ বছর বয়সেও নিজের পছন্দের জীব😼ন সঙ্গী খুঁজ পাননি তুষার। তবে ৭ বছরের শিশুপুত্রের বাবা তিনি! সঙ্গীর অভাব সত্ত্বেও পিতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন ‘গোলমাল’ অভিনেতা। ২০১৬ সালে বাবা হওয়ার খবর জানিয়ে চমকে দিয়েছিলেন অবিবাহিত তুষার। হ্যাঁ, সারোগেসির মাধ্যমে পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছিলেন তুষার।
তুষারের গোটা জীবন লক্ষ্যকে ঘিরে আবর্তিত। একা বাবা হওয়াটা তাঁর কাছে বোঝা নয়, বরং আর্শীবাদ। সম্প্রতি পিতৃত্ব নিয়ে এক মন খোলা আড্ডা দিলেন তুষার। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে অভিনেতা বলেন, ‘আমার কখনও কোনও সঙ্গীর অভাববোধ হয়নি। লক্ষ্যর জন্মের পর আমার জীবন আরও পরিপূর্ণ, অ্যাক্টিভ এবং আনন্দে ভরে উঠেছে। ও আমার পরিবারকে সম্পূর্ণ করেছে। কাজের বাইরে আগে আমার কোনও জগত ছিল না, লক্ষ্য আসার পর সেটা পালটেছে। এমনিতেও আমার কোনও সামাজিক জীবন নেই। তাই মনে হয়নি কিছু স্যাক্রিফাইস করলাম। এখন আমি বার্থ ডে পার্টিতে যাই, স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিই, অন্য বাবা-মায়েদের সাথে আলোচনা করি। এগুলো আমাকে সাহায্য কর꧙ে’।
ছেলের বয়স সবে সাত। একটু একটু করে বড় হচ্ছে লক্ষ্য। বন্ধুর মায়েদের দেখে সে কখনও প্রশ্ন করে না ‘আমার মা নেই 𓂃কেন?’ তুষার জানালেন, এখনও পর্যন্ত এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে। অভিনেতা বলেন, ‘ও আসলে বোঝে ওর শুধুই বাবা আছে। ওর পরিবারটা হয়ত খানিক রীতিবিরুদ্ধ, তবে একদম নর্ম্যাল এবং পরিপূর্ণ’।
সময়ের সঙ্গে নিয়ম বদলেছে। দেশের আইন অনুসারে এখন আর একা পুরুষ বা মহিলা কিংবা সমকামী পুরুষ-মহিলারা সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান লাভ করতে পারবেন না। এই ব্যান সম্পর্কে তুষার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আইন বদলের কারণ রয়েছে….এর ফলে সিঙ্গল পু🍌রুষ বা মহিলারা সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত হবেন তা নয়, কারণ দত্তক নেওয়ার পথ খোলা রয়েছে। সেটা কিন্তু ভালো একটা পরিবর্ত’। তুষার নিজে কি দত্তকের মাধ্যমে ফের বাবা হতে চান? অভিনেতা বলেন, সিঙ্গল ফাদার হিসাবে তাঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব। যেখানে নিজের ২০০% উজার করে দিতে পারবেন না, সেই পথে হাঁটতে চান না তিনি।
তুষারের পর সারোগেসির পথে হেঁটেই সিঙ্গল মা হয়েছেন একতা কাপুর। একতার ছেলের নাম রবি কাপুর। পিসির ছেলের সঙ্গে ভারী ভাব লক্ষ্যর। বড় দাদা হিসাবে রবিকে আগলে রাখে সে। দাদু-ঠাকুমা সবসময়ই প্যাম্পার করেন দুই 🍰নাতিকে। তবে তুষার নাকি একটু বেশি ডিসিপ্🍒লিন মেনে চলতে ভালোবাসেন। এর জন্য প্রয়োজনা কড়া হতে পিছপা হন না।
পিতৃত্বেরꦡ অপ্রচলিত জার্নি নিয়ে বইও লিখেছেন তুষার- ‘ব্যাচেলার ড্যাড’। সিঙ্গল ফাদার হওয়ার সিদ্ধান্তটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত. মনেপ্রাণে বিশ্বাসী তুষার।