🔯 নয়ের দশকে বলিউডের অন্যতম চর্চিত নায়িকা ছিলেন সোমি আলি। মিঠুন চক্রবর্তী, সইফ আলি খান, সুনীল শেট্টির মতো একাধিক প্রথম সারির নায়কদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা থেকে সলমন খানের সঙ্গে দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক, সবমিলিয়ে নিজের স্বল্প পরিসরের বলি-কেরিয়ারে স্পটলাইটেই ছিলেন সোমি। তবে দু'দশকেরও আগে বলিউডকে বিদায় জানিয়ে দেওয়ার পর বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন এই প্রাক্তন অভিনেত্রীর? কীভাবে চলে তাঁর? সম্প্রতি, সেসব নিয়েই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন তিনি।
🎶এইমুহূর্তে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার এমন সব মানুষদের জন্য তৈরি তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'নো মোর টিয়ার্স' নিয়েই দারুণ ব্যস্ত থাকেন সোমি। কীভাবে সেই সংস্থার খরচ চালানোর পাশাপাশি অর্থপার্জন করেন সেই প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন এই বলি-সুন্দরী জানিয়েছেন তাঁর পরিবার অত্যন্ত স্বচ্ছল। ছোট থেকেই বিলাসিতার মধ্যেই বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। তাই টাকাটা কোনও ব্যাপারই না তাঁর কাছে। এক ধাপ বাড়িয়ে সোমি আরও জানান যে টাকার কোনও মূল্যই নেই তাঁর কাছে যতক্ষণ না পর্যন্ত তা সমাজসেবার কাজে লাগছে।
🧸'নো মোর টিয়ার্স-এর কাজ নিয়ে বেশ আছি। ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা আমাকে দেদার আনন্দও জোগায়। আমার বাবা যথেষ্ট ধনী ছিলেন। ছোটবেলায় যে ম্যানসনে থাকতাম ২৮টি ঘর ছিল তাতে। গোটা দোতলা জুড়ে ছিল বিরাট এক ষ্টুডিও। ক্যামেরাম্যান হিসেবে ফিল্মি দুনিয়ায় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বাবা। কিন্তু তাঁর প্রযোজিত প্রথম ছবিই তাঁকে রাতারাতি কোটিপতি করে দেয়। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি আমাদের। সুতরাং টাকার কোনও মূল্য নেই আমার কাছে যতক্ষণ না তা মানুষদের সাহায্য করার কাজে লাগছে। তাঁদের জীবন বাঁচানোর কাজে লাগছে!', অকপটে জানালেন সোমি।
🌺সামান্য থেমে তাঁর আরও সংযোজন, 'আমি এক থাকি। কাজ ছাড়া বাড়িতেই সময় কাটাই। জামাকাপড় শপিং কিংবা বহুমূল্য গয়না কেনার প্রতি কোনও ঝোঁক নেই আমার। অল্পতেই খুশি থাকার চেষ্টা করি। সারাদিন গার্হস্থ্য হিংসা, অত্যাচারের শিকার মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কেটে যায়। এরপর আর অন্য কোনও দিকে মন যায় না। দিতেও ইচ্ছে করে না।' যদি কোনও ব্যক্তি প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে থাকেন তাঁর যে এই সমাজকে খানিকটা 'ফেরৎ' দেওয়া উচিৎ বিভিন্ন সমাজসেবার সুবাদে, তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই প্রাক্তন বলি-অভিনেত্রী। তাঁর ভাষায়, ' এ যেন অনেকটা এই পৃথিবীতে থাকার ভাড়া চোকানো।'