সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এদিকে তার আগেই বিপত্তি। ১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার বাড়ির সামনে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কপাল ফেটে রক্ত বের হতে দেখা যায়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে। জানা য💯ায় মুখ্যমন্ত্রীর কপালে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে।
তৃণমূলের এ🤪ক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কপাল ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ার ছবি পোস্ট করা হয়। প্রকাশ্যে আসা সেই ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচ্ছন্ন অবস্থায় দেখা যায়। যদিও SSKM সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মোটেও সংজ্ঞাহীন নেই। তাঁর জ্ঞান রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই ফেসবুকের পাতায় কারোর নাম না করে একটি পোস্ট করেন বামপন্থী নাট্যব্যক্তিত্ব এবং পরিচালক সৌরভ পালোধি। তিনি লেখেন, ‘কপালে’ কি আছে কে জানে। নিজের পোস্টে 'কপালে' শব্দটি কোটেশনের মধ্যে রাখেন সৌরভ পালোধি। তবে তিনি কোন বিষয়ে, কেন একথা লিখেছেন তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি নেটপাড♋়ার বাসিন্দাদের। বামপন্থী নাট্যব্যক্তিত্ব এবং পরিচালকের পোস্টের নিচে উঠে আসে নানান মন্তব্য।
এক ব্যক্তি লেখেন, ‘আমার বদ্ধ মূল বিশ্বাস রক্ত টা অরিজিনাল নয়, যদিও বা অরিজিনাল হয় ইচ্ছাকৃত রক্ত রেখে ছবিটা তোলা হয়েছে ভোটের আগে সিম্প্যাথি তোলার জন্য’। কারোর মন্তব্য, ‘এই রাজ্যবাসীর কপালে মুক্তি নেই, সেটা বোঝা যাচ্ছে’। কারোর প্রশ্ন, 'তোর বাড়ির লোকেরা অসুস্থ হলে স্ট্যাটাস দিস?' কেউ আবার❀ লিখেছেন, ‘কি আবার ,,,, শনি আছে ,,’। কেউ লিখেছেন, ‘আজকেই প্রথম দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট আর এমন দুর্ঘটনা এত রক্তপাত মেনে নেওয়া যায় না’। একজন লিখেছেন, ‘আবার দিদি হুইল চেয়ারে আবার জয়ী এবার ভাংা মাথায় খেলা হবে’। এমনই অজস্র মন্তব্য উঠে এসেছে।
এদিকে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে কালীঘাটে নিজের বাড়ির চত্ত্বরেই হাঁটছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই কোনওভাবে পড়ে যান। সামনে ঝুঁকে পড়ে যাওয়ার কারণে তাঁর কপালে চোট লাগে। গ�ꦫ�লগল করে রক্ত বের হতে থাকে। সেসময় বাড়িতেই ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই তাঁকে গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যান।