বুধবার ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে মমতা 🅰বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে ছিল চাঁদের হাট। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। দিদির হাতে ফোঁটা নিয়েই দিন শুরু হয় অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সিদের। এদিন দিদির হাত থেকে ফোঁꦛটা নিতে পৌঁছেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে সহবাস সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাক্তন মেয়র এখন সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে। তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছিল মমতার প্রিয় কানন (শোভনকে এই নামেই ডাকেন দিদি)। কিন্তু মাস কয়েকের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়, বিজেপি ছাড়েন শোভন-বৈশাখী। লোকসভা ভোটের আগেই কি ফের তৃণমূলে শোভন? জল্পনা উস্🍰কে দিল দিদিকে নিয়ে শোভনের এদিনের বয়ান।
দুপুর দেড়টা নাগাদ একই গাড়িতে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছান শোভন-বৈশাখী। ফোঁটা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ব🥂লেন, ‘বন থেকে বাঘকে সরানো যায়, বাঘের মন থেকে বন সরানো যায় না৷’ ইশারায় ঠিক বোঝানোর চেষ্টা করলেন শোভন? তাঁর ধ্যান-জ্ঞান এখনও তৃণমূল কংগ্রেস, সেটাই বোধহয় জানাতে চাইলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। মমতার প্রতি নিজের আন💝ুগত্য জাহির করে আরও জানান,‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলে যা স্যাক্রিফাইস করার দরকার, তার জন্য আমি তৈরি আছি৷’
এদিন দুজনের পোশাকে রং মিলান্তি চোখে পড়েনি। সাদা পাꦐঞ্জাবিতে শোভন, সবুজ সিল্কের শাড়িতে ঝলমলে বৈশাখী। শোভন-বান্ধবী বললেন,‘পদে থেকে দিদিমণির ভালবাসা না পাওয়ার চেয়ে , পদে না থেকে দিদিমনির ভালবাসা পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার৷ শোভনকে যেভাবে উনি আগলে রাখেন, এবং যে স্নেহ উনি সবাইকে বিতরণ করেন তার সাক্ষী হয়ে থাকি, এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। এই দিনটা ওর জন্য খুব স্পেশ্যাল, আমি ওর পাশে থাকতে পারি, সেটা আমার কাছে স্পেশ্যাল।'
২০১৮ সালের ২০শে নভেম্বর মমতার মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেন শোভন। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েই পদ ছাড়েন শোভন এমনটাই শোনা গিয়েছিল। এরপর অভিযোগের💟 আঙুল ওঠে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিকেও। তাঁর সান্নিধ্যে এসেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কেরিয়া♛র শেষ হয়েছে, এমন রটনা কম শোনা যায়নি।
মাস কয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনের সম্পর্কের সমী💮করণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক ভাইফোঁটার অভিজ্ঞতার কথাই ভাগ করে নিয়💝েছিলেন বৈশাখী। তিনি আজতক বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেদিন আমি বুঝেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনকে কতটা ভালোসেন। এক বছর ওঁরা কথা বলেনি, সেটা কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহারে ধরা পড়েনি। উনি একবারের জন্য জিগ্গেস করেনি ‘কি রে তুই বিজেপি জয়েন করলি কেন?’ দেখলে মনে হচ্ছিল, শোভন বাচ্চা ছেলে। ও অনেকদিন আসেনি, ওকে আবার আদর দিতে হবে। আমি তো দেখে পুরো সারপ্রাইজ। আমার জন্য খুব সুন্দর একটা দৃশ্য ছিল’।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন,'শোভনের প্রতি ওঁর স্নেহটা আজও 🐎অটুট। উনি শোভনকে প্যাম্পার করেছেন, এতটা উচিত নয়। শোভন যে এতটা অভিমানী সেটা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপ❀াধ্যায় নিজে’।