জল্পনা ছিল আগেই। সেই জল্পনাতেই শিলমোহর পড়েছে বৃহস্পতিবারে। সেদিন সন্ধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ। সেখানে শোভন 𒆙চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তিনি। চলে চা চক্র। আর তারপর থেকে অনেকেই মনে মনে বিশ্বাস করে নিয়েছেন, তৃণমূলেই ফিরবেন শোভন। আর সেই ঘটনার রেশ ধরে রত্নার মনে আশা, বুঝি বা ফিরবেন তাঁর কাছেও।
তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন শোভন। ভালোবেসে কানন বলে ডাকতেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে বৈশাখীকেꩲ নিয়েই মূলত হয়েছিল ঝামেলা শুরু। আরও নানা কারণ নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে বাড়তে থাকে দূরত্ব। রাজ্য মন্ত্রিসভা ও মেয়র পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই দল ছাড়েন শোভন।
২০১৯ সালে বান্ধবী 🐭ও সহবাস সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতেও। ‘অপমান করা হচ্ছে তাঁদের’ অভিযোগ তুলে মাসখানেকের মধ্যেই সেই দল ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতেই বন্ধ হ﷽চ্ছে জি বাংলার মেগা ইচ্ছে পুতুল? মুখ খুললেন সিরিয়ালের নায়ক ‘নীল’ মৈনাক
বর্তমানে রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে শোভনের। তবে তারই মাঝে শোভনের তৃণমূলে ফেরার মতো ঘরে ফেরার আশাতেও বুক বেঁধেছেন তিনি। এবিপি-কে বললেন, ‘দলের জন্য ভাবেনি। অন্য দলে চলে গিয়েছিল। সেখানেও হয়তো যা ভেবে গিয়েছিল তা পায়নি। এঘর থেকে ওঘর, ওঘর থেকে সেঘর ক☂রে চলেছে। এমনকী বাস্তব জীবনেও। আমাকে ছেড়ে বৈশাখীর কাছে গিয়েছেন। এখ▨ন হয়তো আবার আমার কাছে ফিরে আসবেন।’
আরও পড়ুন: ‘কাঞ্চন গর্তে ঢুকে গেছে’! 🦹মুখে করে কেক নিয়ে খাওয়ালেন কাঞ্চন-বান্ধবী শ্রীময়ী
রত্নার কাছে ফিরবেন না কি বৈশাখীর সঙ্গেই থাকবেন তা তো সময়ই বলবে। তবে তৃণমূলে ফেরার আশা জাগাচ্ছেন শোভন। আজতকবাংলাকে বললেন, ‘কুণাল আমার বাড়িতে এসেছিলেন। কারণ তো ছিলই। আমিও চাই, সর্বশক্তি দিয়ে দলের হয়ে লড়তে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ🌟ে যেভাবে ছিলাম, সেভাবে থাকতে।’ স্পষ্ট করেই জানালেন আপাতত মমতার থেকে গ্রিন সিগনাল পাওয়ার অপেক্ষাতে আছেন।
ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে, শোভন বরাবরই দাবি করে এসছেন একটা কাগজে সই কোনও সম্পর্ককে ‘নাম’ দিতে পারে ঠিকই, কিন্তু তিনি ✱আর বৈশাখী একে-অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন আগেই। এমনকী, রত্নার সঙ্গে ডিভোর্সের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বৈশাখীকে বিয়ে করার স্বপ্নও দেখে রেখেছেন। বৈশাখী-কন্যা মহুলকেও মেয়ে হিসেবে জায়য়া দিয়েছেন নিজের জীবনে।