তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে একের পর এক ঝড় এসেছে। কিন্তু হাসিমুখে সব মুশকিলের মোকাবিলা করেছেন শ্রাবন্তী। দাম্পত্য সুখ তাঁর জীবনে সোনার পাথর বাটি, ছেলেকে ঘিরেই নায়িকার গোটা জগত। রবিবারই ৩৭-এ পা দিয়েছেন শ্রাবন্তী। এক দিনের ব্যবধানে জন্মদিন মা-ছেলের। সোমবার শ্রাব🐲ন্তীর নয়নের মণি ঝিনুকের জন্মদিন।
শ্রাবন্তী ও তাঁর প্রথম স্বামী রাজীব কুমার বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে অভিমন্যু চট্টোপাধ্যায়। শ্রাবন্তী অবশ্য ঝিনুক বলেই ডাকেন ছেলেকে, অভিনেত্রীর জীবনের মুশকিল আসান সে। সোমবার ২১-এ পা দিল๊ ঝিনুক। বারবার বিয়ে ভাঙার আঁচ লাগতে দেননি ছেলের গায়ে। ছোট থেকে ছেলের সব দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি একা। তবে এখন আর ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা হয় না তাঁর। বরং ‘পরিণত’ ঝিনুক মা-কে নিয়ে সারাক্ষণ টেনশনে থাকে। অভিনেত্রী আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘ছেলের আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। ও বলে, আমি নাকি ১৬-তেই আটকে রয়েছি! ছেলেরা মাকে ভয় পায়, আমি ছেলেকে ভয় পাই! আমি পার্টি করলে শাসনও করে’।
মা-এর কর্তব্য পালনে বরাবরই দু-পা বাড়িয়ে থাকেন শ্রাবন্তী। ছেলের সঙ্গে বাবার কোনও যোগাযোগ আছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই নায়িকার। তাঁর কথায়, ‘ছোটবেলা🌊 থেকেই ওঁর পুরো দায়িত্ব আমি সামলেছি। কখনওই কো-প্যারেন্টিং করিনি আমরা। তাই ওঁর সঙ্গে ওঁর ব🥂াবার যোগাযোগ থাকলেও জানি না, নাক গলাই না এই বিষয়ে’।
১৭ বছর ১ দিন বয়সে মা হয়েছিলেন শ্রাবন্তী। তাই ছেলের সঙ্গ বয়সের বিশেষ ফারাক নেই। নায়িকার কথায়, তাঁদের সম্পর্ক ‘ভাইবোনের মতো’। মাতৃত্ব আর কেরিয়ারের মধ্যে ভারসাম্য রাখাটা জরুরি বলে বিশ্বাসী শ্রাবন্তী। তিনি জানালেন, ‘আমি তো মা হওয়ার পর নায়িকা হয়েছি। তখন থেকেই আমার যুদ্ধ শুরু। এখন কোনও🍸 কিছুই ক🉐ঠিন মনে হয় না।’
অগস্ট মাসটা খুব স্পেশ্যাল শ্রাবন্তীর কাছে, কারণꦉ এই মাসে দু-বার জন্ম তাঁর। আসলে মাত♉ৃত্ব তো মেয়েদের কাছে পুর্নজন্মেরই সমান। খুব অল্প বয়সেই ভালোবেসে রাজীবকে বিয়ে করেছিলেন নায়িকা। কিন্তু সেই সংসার টেকেনি। ২০১৬ সালে ডিভোর্স পাকা হতেই মডেল কৃষণ বিরাজকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী, দ্বিতীয় বিয়েও ভাঙে মাস কয়েকে। ২০১৯ সালে রোশন সিং-কে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী, কিন্তু দেড় বছর যেতে না যেতে সেই বিয়েও ভেস্তে যায়। আপতত রোশন-শ্রাবন্তীর ডিভোর্স মামলা আদালতে বিচারাধীন। চার নম্বর বার আর বিয়ে করতে চান না শ্রাবন্তী, কেরিয়ার আর ছেলেকে ঘিরেই তাঁর গোটা দুনিয়া।