ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় পরিণতি পেল শতরূপ-পহেলির প্রেমের গল্প। সিপিআইএমের যুবনেতা শতরূপ ঘোষ নতুন জী♊বন শুরু করলেন পহেলি সাহার সঙ্গে। কোনওরকম মন্ত্রোচ্চারণ নয়, সই-সাবুদ করেই বিয়ে সারলেন শতরূপ। ইচ্ছা থাকলেও এই বিয়ের আসরে হাজির হতে পারেননি শ্রীলেখা মিত্র। সেজেগুডে রেডি হলেও ড্রাইভার না মেলায় বিয়ে বাড়ির আসরে গরহাজির ছিলেন শ্রীলেখা। সেই কথা ফেসবুকে দেওয়ালেও লেখেন অভিনেত্রী। এমনিতে শ্রীলেখার রসিক মেজাজ কারুর অজানা নয়। তাঁর রসবোধ বেশ এনজয় করেন নেটিজেনরা। তাই তো কখনও কলা হাতে ছবিꦅ দিয়ে তা খাওয়ার উপকারিতা জানান, আবার কখনও ড্রাইভারের খোঁজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বসেন!
সোমবার ফেসবুকে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন শ্রীলেখা। সেখানে শতরূপ ও তাঁর স্ত্রী পহেলির আংটি বদলের ছবি ধরা পড়েছে। আর ক্যাপশনে নেটিজেন লিখেছেন, ‘আমি প্রথমে দেখে শ্রীলেখাদি ভেবেছিলাম…’। এই পোস্ট শেয়ার করে শ্রীলেখা লেখেন- ‘যা শা*ﷺ আমি কেন? লোকনাথ বাবা তো নই…. যাক এই বয়েসেও বিয়ের পাত্রী ভাবছে আমায়’।
শ্রীলেখার এক অনুরাগী লিখে𒆙ছেন, ‘ব্যাপারটা মন্দ হত না’। প্রযোজক রাণা সরকার লেখেন, ‘অনেকটা তোমার মতোই দেখতে কিন্তু’।
শতরূপের পাত্রী পহেলি টলিপাড়ার পরিচিত মুখ। এক নামী প্রযোজনা সংস্থার জনসংযোগের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। শতরূপ এবং পহেলির প্রেমไ আজকের নয়। দু'জনের পথ চলাটা শুরু হয়েছিল আশুতোষ কলেজ থ🌼েকে। আশুতোষ কলেজেই দু'জনের প্রথম আলাপ। যা প্রেমে গড়িয়েছে। শতরূপের মতো পহেলিও বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী।
বাম ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী শ্রীলেখা🐲 রবিবার এই বিয়ে নিয়ে জানিয়েছিলেন, 'অনেক মেয়েকে চোখের জলে ভাসিয়ে শতরূপ ঘোষ বিয়ে করছেন। সেখানে না গেলে ভবিষ্যতে ট্রোলারসদের কনটেন্টে ঘাটতি পড়বে। অতএব সেখানেও হাজিরা দিতে হবে।’ তবে ড্রাইভার না পাওয়ায় বিয়েবাড়ি যাওয়া হয়নি তাঁর। কিন্তু সাজ অর্ধেকটা বাকি রাখেননি। সবুজ-হলুদ সিল্কের শাড়ি পরেছিলেন, সঙ্গে কনট্রাস্ট করে রয়্যাল ব্লু ব্লাউজ। সঙ্গে সোনার গয়না। হালকা মেকআপ, গ্লিটারি আইজ, ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক। সাবেকি লুকে দুর্দান্ত লাগছিল শ্রীলেখা, কিন্তু ড্রাইভার-ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় যে বিয়েবাড়িটাই যাওয়া হল না!