১০ দফা দাবি নিয়ে উৎসবের আবহে জীবন বাজি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তররা🎃। ধর্মতলায় মঞ্চ বেঁধে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন। মহাষষ্ঠীতে সন্ধ্যেয় সেই অনশন মঞ্চেই পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যিনি কিনা শুরু থেকেই এই আন্দোলন সমর্থন করে এসেছেন। সেই শ্রীলেখাই পৌঁছে গিয়েছিলেন ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চের সামনে।
ধর্মতলা থেকে এক টুকরো ভিডিয়ো নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পোস্ট🐽 করেছেন শ্রীলেখা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি যখন ঢুকছি, এখানꦅে একজন মা বললেন, দিদি ছেলে-মেয়ে গুলোর কিছু হবে না তো, বাঁচবে তো…’ বলতে বলতেই গলাটা ধরে এল শ্রীলেখার। বললেন, ‘আমি মা হয়ে আর কী বলব… এই ছেলেমেয়েগুলো তো ত্যাঁদড় ছেলে মেয়ে… কী যে বলি…’। গলা ধরে আসায় ক্যামেরা ঘুরে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বললেন শ্রীলেখা।
একজন আনন্দোলনরত চিকিৎসক ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানালেন, ‘আমরা এখানে ব্যবস্থা করার জন্য যা যা করছি, প্রথমদিন থেকে…। আমাদের ডেকরেটররা যখন বাঁশ বাঁধছিলেন, তখন তাঁদের ফোনে থ্রেট করা হয়েছে, সামনাসামনি বলা হয়েছে যে নেমে পরো। তাঁরা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলেন এই ভেবে যে কী করবেন,,, তারপর আমরা ঠিক করি যে নিজেরা বাঁশ বাঁধব, নিজেরাই ব🗹্যবস্থা করবꦇ। এই প্যান্ডেলটা আমরা নিজেরাই করেছি (আঙুল দিয়ে দেখিয়ে) সাধারণ মানুষ অনেক সাহায্য করেছেন। তারপর চৌকিওয়ালা ভ্যান, বাঁশের ভ্য়ান, সবাইকে ওরা প্রতি পদক্ষেপে বাধা দিয়েছে। তবে জনগণ প্রচুর সাহায্য করেছেন, ওরা দু-তিনজন হাতে করে বাঁশ এনেছেন, বউবাজার থেকে ওরা মাথায় করে চৌকি এনে দিয়েছেন।’
এরপরই শ্রীলেখার কথা প্রসঙ্গে এক মহিলা বলেন, ‘ওরা কতটা ভয়ে আছে। ভয়ে না থাকলে…। ൲ওরা তো সাধারণ ছেলেমেয়ে। ওরা তো গুণ্ডা🀅মস্তান নন, পড়াশোনা করে, জয়েন্ট ক্র্যাক করে এখানে এসে দিন কাটাচ্ছেন। ওদের পড়াশোনা নেই…।’
এরই মাঝে এক মা তাঁর স্কুল পড়ুয়া অল্পবয়সী মেয়েকে সামনে নিয়ে এসে বললেন, ‘ও আজ সকালে দেখেছে লরেটোর একটা দিদি অনশন করছেন।’ শ্রীলেখা বললেন, ‘হ্যাঁ, ক্লাস সেভেনে পড়ে…।’ ফের ওই মহিলা মেয়েকে দেখিয়ে বললেন, ‘ও ক্লাস ফাইভে পড়ে লরেটো বউবাজারে। ও রাতে বলছে মা আমি কিচ্ছু খাব না। সে🌼ই রাত ১১টায় খেয়েছে, তারপর থে✅কে কিছু খায়নি, বলেছে মা আমি দেখা করব, তারপর খাব। ও বলছে মা আমাদের কলকাতা শহরটা কেন এইরকম হয়ে গেছে… (কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন মেয়েটির মা)’
এরপর শ্রীলেখা বাচ্চা মেয়েটিকে আদর করে বলেন, ‘তুমি হলে আমাদের সোনা মেয়ে। এই যে তুমি অনুভব করছো, এটা দেখেই মনে হচ্ছ, আগামী দিনটা খুব খারাপ হবে না, তোমাদের 𒊎মতো কিছু মানুষজন আছে বলে।’ শ্রীলেখা মেয়েটিকে বলেন, ‘তোকে দেখে আমার এখন মনে হচ্ছে, আমিও কালকে না খেয়ে আসব। যদিও আমি বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকতে পারি না। মোটা আমি, তবু আসব…’। এরপর কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন শ্রীলেখা।