গত পাঁচ বছর ধরে কাঞ্চনের বাড়িতে গণেশপুজো হয়। কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের বিয়ের পরে এটাই তাঁদের প্রথম গণেশ চতুর্থী। সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল পুজো। তবে লোক জনের অভাব তাই একা হাতেই ভগবান গণেশের মূর্তি আনা থেকে শুরু করে ভোগ রান্না সবটাই ♌সামলেছেন অভিনেত্রী। পুজোর সমস্ত জোগাড়ও সেরেছেন শ্রীময়ী। কেমন ছিল এদিনের আয়োজন? সেই বিষয়ে যা বললেন অভিনেত্রী।
এদিনের আয়োজন নিয়ে শ্রীময়ী আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সকাল থেকে পুজো চলছে। কাঞ্চন হোমযজ্ঞে যোগ দিয়েছেন। ভোগ নিবেদন করা হয়েছে। কাছের আত্মীয়দের নিয়ে খ♌ুব ঘ🍌রোয়া ভাবে আয়োজন করা হয়েছে সবটা।'
আরও পড়ুন: ছেলে, নাতি সকলকে নিয়ে পরি🐽বারের সঙ্গে ৭৫ তম জন্মদিন উদযাপন রাকেশ রোশনের! দিলেন বিশেষ বার্তা
শ্রীময়ী গণেশের কাছে কী প্রার্থনা করেছেন সে প্রসঙ্গে জানান, 'একটা সুস্থ পৃথিবী চাই যাতে, আমরা সকলে সুখে, শান্তিতে থাকতে পারি। সকলের মুখে যেন হাসি থাকে। কাউকে যেন চোখের জল ফেলতে না হয়। সবাই যেন সপরিবার সুস্থ থাকতে পারি।' পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে কোনও আশীর্বাদ চেয়েছেন কিনা জানতে চাও💞য়া হলে? শ্রীময়ীর উত্তর, 'ঈশ্বরের কাছে ভবিষ্যৎ পরিকল্প𒅌নার জন্য কিছু চাইছি না। কারণ, এর জন্য তো কাঞ্চনকে কিছুটা সময় দিতে হবে। সেই সময়টাই আমরা বিয়ের পর থেকে পাইনি। আমাদের তো মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া নিয়েও ডামাডোল হয়েছিল। ওঁর কাজ, প্রচার নিয়ে ব্যস্ততা সব মিলিয়ে সময় দিতে পারছিল না। কালও গণেশ মূর্তি আনতে আমি আর মা গিয়েছিলাম। কাঞ্চন যেতে পারেনি।'
আরও পড়ুন: বিয়ের পর প্রথম গণেশ ꦑচতুর্থী রাধিকার! বিশেষ এই অনুষ্ঠানে কেমন সাজলেন আম্বানিদের ছোট বউ
তবে পুরোহিত সকাল সকাল আসা নিয়ে অভিযোগ করেছেন শ্রীময়ীর। তিনি বলেন, 'এবার আসলে মা-ও ভোগ রান্না করতে পারেনি। কাল রাতে মায়ের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে যেতে হয়েছে। আর আমার বাড়িতে আগে এক বৈষ্ণব রাঁধুনি ছিলেন। তাঁর শরীর খারাপ বলে চলে গিয়েছেন। এ বার এক অল্পবয়সি রাঁধুনি এসেছেন। তিনি তেমন অভিজ্ঞ নন। তাই সবটা আমাকে নিজেকেই করতে হয়েছে।' আর সব কাজ স♊ামাল দিতে গিয়ে তিনি নিজেই নাকি তৈরি হয়ে উঠতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, কেবল গণেশ পুজো নয় কিছু দিন আগেই দম্পতি জন্মাষ্টমীতে গোপালের পুজোও করেছেন। কাঞ্চনের কাজের প♊্রসঙ্গে শ্রীময়ী জানান, কাঞ্চন বর্তমানে তাঁর ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। তিনি নাকি বেরিয়ে যান দুপুর দুটোয় আর ফেরেন ভোর সাড়ে পাঁচটা-ছটায়।