আরজি কর-কাণ্ডে হঠাৎই ‘ভোলবদল’ শাসক-ঘনিষ্ঠ কবি সুবোধ সরকারের। তিনি বললেন, ‘রাজ্♓য সরকারের পুরস্কার পেলে প্রত্যাখ্যান করতাম’। যদিও তিনি জানালেন, ‘কবিতা অ্যাকাডেমির’ পদ ছাড়বেন কি না ভাবছেন। কাঞ্চন মল্লিকের কথাতে মনে আঘাত পেয়েছেন, অপমানিত বলেই জানালেন তিনি সংবাদমাধ্যমকে।
আরজি কর কাণ্ড ও কাঞ্চন মল্লিকের বক্তব্যের রেশ ধরে এবিপিকে কবি ব🧸ললেন, ‘রাজ্য সরকারের পꦑুরস্কার পেলে প্রত্যাখ্যান করতাম। কবিতা অ্যাকাডেমির পদ ছাড়ব কি না ভাবছি। কাঞ্চন মল্লিকের কথায় আমিও অপমানিত’।
তিনি আরও বলেন যে কাঞ্চনের কথা তাঁর কষ্ট লেগেছে। অপমানিত বোধ করেছেন। তিনি ভাবতে পারেন না, কোনও বিধায়ক এই ধরনের মন্তব্য কীভাবে করতে পারে! তবে গত ১৩ বছরে (তৃণমূল ক্ষমতায় আসা পর) রাজ্য সরকারের সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত কোনও অ্যাকাডেমির কোনও পুরস্কার পাইনি। ‘পুরস্কার পেলে ফিরিয়ে দিতাম। পাইনি কী করে ফেরত দেব’, বলতে শোনা 🌊গেল তাঁকে।
তবে জানালেন, তিনি ছাড়তে পারেন কবিতা অ্যাডাডেমির চেয়ারম্যান পদ। পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন𒀰 নাকি জিজ্ঞাসা করা হলে সুবোধ সরকারে কাছ থেকে জবাব আসে, ‘করে দিতে পারি। দেখা যাক...ভাবছি। কী হবে? আমার কাজ কবিতা লেখা। কাল সকালে বসে আমি যেন কবিতা লিখতে পারি...ব্যাস।’
বরাবরই শাসক-ঘনিষ্ঠ বলে প্রবল আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে কবিক🌱ে। তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’ বলেও কটাক্ষ করা হয়ে থাকে। তবে সেই সমালোচনা গায়ে মাখতে নারাজ সুবোধ। বললেন, 'কিছু শ্রেণি আছে তাঁরা সারাক্ষণ এসব বলে...সেটা অত গুরুত্বপূর্ণ নয়।'
সুবোধ সরকারকে বলতে শোনা গেল, আরজি করের ঘটনার পর সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, তা 𒉰মন ছুঁয়ে গিয়েছে তাঁর। বললে, এই ‘জনজোয়ারꦺ, জনজাগরণ অভূতপূর্ব’। পবিত্র আবেগ থেকে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। যা কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। সাধারণের, কোনও পতাকা ছাড়া জমায়েত। এক অন্য ইতিহাস তৈরি হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। আর সেই ইতিহাসকে তিনি কুর্নিশও জানালেন এদিন। বললেন, এটি শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছেও।
প্রসঙ্গত, আর জি কর-কাণ্ড ও প্রশাসনের ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির সদস্যপদ ছেড়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব সুপ্রতিম রায়। এখানেই শেষ নয়, সরকারের দেওয়া পুর💃স্কার ফিরিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন সেনের মতো ব্যক্তিত্বরাও। 'শিল্পীরা কি পুরস্কার ফেরত দেবে?' আরজি কর নিয়ে আন্দোলনরত টলিউড তারকাদের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন রেখেছিলেন শাসক দলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তারপর থেকেই প্রতিবাদে শুরু এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার পালা।