গত ২২ মে বাড়ির বাথরুমে মৃত্যু হয় টেলি অভিনেতা আদিত্য সিং রাজপুতের। মাত্র ৩২ বছর বয়সে আদিত্যর অকাল মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছেন না তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা। ঠিক যেমন মানতে পারেননি আদিত্যর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, অভিনেত্রী সুবুহি যোশ💧ী। বন্ধু আদিত্যর মৃত্যুতে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানিয়েছেন সুবুহি। এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন সুবুহি।
তিনি আদিত্যের কতটা কাছের বন্ধু ছিলেন সে বিষয়ে টাইমস অফ ইন্🍰ডিয়ার কাছে খোলসা করেন সুবুহি যোশী। বলেন, ‘এই এক মাস আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। আমি ꧙এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আদিত্য আমাদের মধ্যে নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আমি বেশ কয়েকজন কাছের মানুষকে হারিয়েছি এবং এটি আমাকে প্রভাবিত করেছে। আদিত্য ছিল মুম্বইয়ে আমার পরিবারের মতো। আমি এখানে একা থাকি এবং আমরা নিয়মিত দেখা করতাম এবং একে অপরকে প্রতিদিন ফোন করতাম। এখন ও নেই, তাতে কাকে ফোন করব, বুঝে উঠতে পারি না। গত একমাস ধরে আমি ভালো করে ঘুমতেও পারিনি। আমার শারীরিকও অনেক ক্ষতি হয়েছে, গত ১ মাসে ৯ কিলো ওজন বেড়েছে। তবে এখন ধীরে ধীরে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি, জিমে যাচ্ছি। আমি জানি আদিত্য থাকলেও সেটাই চাইত।’
আরও পড়ুন-'একমাস ঘুমোতে পারিনি, আমি বিধ্বস্ত!’ অভিনেতা আদিত্য🔜র আকাল মৃত্যুতে বললেন সুবুহি
আরও পড়ুন-চোখে মুখে চিন্তার ছাপ! 'আমার স্বামী নꦛিখোঁজ', পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন দীপিকা
গত এক সপ্তাহ আগেও সুবুহিই ইনস্টাগ্রামে আদিত্যের সঙ্গে কিছু প্রিয় স্মৃতি ভাগ করে নি♔য়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘এই ৩০ দিন এত কঠিন ছিল, এটি অবর্ণনীয়। আমি সর্বত্র যেন ওর মুখই দেখতে পাচ্ছিলাম, ওর গলার স্বর কানে ভাসছিল। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। কিন্তু আজ আমি বুঝতে পারছি, কষ্ট পেয়ে আমি নিজেকে বিপর্যস্ত করে তুলছি।’ লিখেছিলেন, ‘আমি তাই এবার এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এগিয়ে যাওয়া মানে এই নয় যে আমি ওকে ভুলে যাব, এর অর্থ আমিও আবারও আমার জীবনে ফিরে আসব। কারণ🔴 ও আমায় ভালবাসত এবং আমি কাজ করেই ওকে গর্বিত করব। ও জানবে আমি ভালোকিছু করছি। আমার সেরা বন্ধুকে বলব, আমি তোমাকে সর্বদা এবং চিরকাল ভালোবাসব। আশা করি, তুমি শান্তিতে বিশ্রাম নিচ্ছ। তোমার অভাব অনুভব করছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, বাথর𒁏ুমে পা পিছলে পড়ে আদিত্যর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ির পরিচারিকꦆা জানিয়েছেন, আদিত্য বেশকিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুর বেশকিছুদিন আগে থেকে সুস্থ বোধ করছিলেন না। ওর সর্দি-কাশির সমস্যা ছিল, বমিও করছিলেন।