একসময় পরিচালক শেখর কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী, গায়িকা সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। সালটি ছিল ১৯৯৭, সে বিয়ে ভেঙে যায় ২০০৬ সালে এসে। তাঁদের অবশ্য এক মেয়েও রয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই ভাঙা বিয়ে নিয়েই মুখ খুলেছেন সুচিত্রা। তাঁর কথায়, পরিচালক স্বামী শেখর কাপুর তাঁর সঙ্গে একসময় বিশ্বাসঘাতকতা করেছ📖িলেন।&ꦐnbsp;
প্রাক্তন স্বামী শেখর কাপুর প্রসঙ্গে সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘আমার স্বামী চাননি আমি অভিনয় করি। কিন্তু সেটা আমার কাছে খুব বড় ব্যাপার ছিল না। আমি নন-ফিল্মি ব্যা♚কগ্রাউন্ড থেকেই এসেছিলাম। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় থেকেই ছবির অফার পেতে শুরু করি। কলেজে পড়তে পড়তেই আমি ’কাভি হ্যাঁ কাভি না' ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। কলেজে পড়ার সময় একটি মালায়ালাম ছবিতেও কাজ করেছিলাম। আমার বাবা-মা খুব কঠোর ছিলেন, ওঁরাও এক্কেবারেই চাননি আমি অভিনয় করি। কিন্তু আমি ওঁদের মিথ্যে বলেই একটা ছবির শুটিং করতে কোচিতে চলে যাই। এরপর অনেক ছবি করেছি যেগুলো সুপারহিট হয়েছে। কিন্তু তখন আমার স্বামী খুব স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে তিনি চান না তাঁর স্ত্রী অভিনয় করুক। আমি ওঁর এই চিন্তাভাবনা বোঝার ক্ষেত্রেই খুবই বোকা ছিলাম। তবে এটা আমার জন্য বড় বিষয় ছিল না। আমি যত না উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলাম, তার থেকেও বেশি প্রতিভাবান ছিলাম। তাই আমি ভাবিনি যে আমার জীবনে কখনও থেমে🐠 থাকবে না, যদিও সেটাই হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিব্যি চলছিল শ্যুটিং আচকাই শক্তি অরোরা দেখলেন সা🌸মনে আস্ত একটা অজগর সাপ! তারপর…
আরও পড়ুন-'এখনও ক্ষমা করিনি', শেখর কাপুরের সঙ্গে বিয়ে ভাঙায় প্রীতিকেই দায়ী করেন সু🌊চিত্রা
শেখর কাপুরের সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে সুচিত্রা বলেন, তাঁর বাবা-মা একেবারেই এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন, কারণ বয়সের অনেক পার্থক্য ছিল। সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তির কথায়, ‘শেখর ছিল প্রায়🌌 আমার মায়ের বয়সী। তার উপর ওর আগেও একটা বিয়ে ছিল, যেটা ভেঙে যায়। এর উপর আবার শেখর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোক। সেদিন মা প্রায় আমার পায়ের কাছে বসে বলেছিল এই বিয়ে না করতে। তবে আমার জে🌼দ ছিল, এটাই চাই। আর তাই এটা আমি নিজেই নিজের পায়ে কুড়ুল মেরেছি।’
সুচিত্রার কথায়, ‘শেখর কাপুরের সঙ্গে বিয়ে আমার কর্মফল, যেটা আমি ভোগ করছি। ওকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়েছিলাম। আমি তখন ১০-১২ বছরের কিশোরী। আমার মনে হত আমি হয় ক্রিকেটার ইমরান খান, নাহয় পরিচালক শেখর কাপুরকে বিয়ে করব। চ্যাম্পিয়ান ছবির কাস্টিং করছিলেন🐷 তিনি, তখন দেখা করতে গিয়েছিলাম। তারপর বেশ কয়েকবার দেখা করেছি। উনি প্রেম নিয়ে এতটাই সিরিয়াস ছিলেন যে সবকিছু ঊর্ধে চলে যান। তবে আমি জানিয়ে দি, যে আমি সেধরনের মেয়ে নই, বিয়ে না করলে আর দেখা হবে না। একপ্রকার ধমক দিয়েই বিয়ে করেছিলাম।’
আমি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই বিয়ে ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম। কারণ, বার্কেল স্কল অফ মিউজিকে আমি বৃত্তি পেয়েছিলাম, গান শিখতে চেয়েছিলাম, আর তারপরই অন্তঃসত্ত্বা হই। মা হওয়ার পর বেশ কয়েকবছর ছিলাম, তারপর বের হয়ে আসি। বুঝে ছিলাম, আর সম্ভব নয়। অবিশ্বাস নয়, অসম্মানꦓের কারণে আমাদের বিয়ে ভাঙে।