কিছুদিন আগের ঘটনা, বাংলাদেশে গিয়ে গো-মাংস রান্না শিখে মহা বিপদে পড়েছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। নেটপাড়ায় চরম বিতর্ক, সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি🐻। যদিও এই ঘটনায় হাতজোড় করে সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন সুদীপা। যদিও তারপরও খুন, ধর্ষণের হুমকি বন্ধ হয়নি। এমনকি কিছু লোকজনের আক্রমণ থেকে ছাড় পাচ্ছে না সুদীপার ৫ বছরের ছেলে আদিদেব। আর তাতেই ভেঙে পড়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ🦩্যায়।
এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে টিভি৯-কে সুদীপা বলেন, সব ভুলে তিনি ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। তবে এই আতঙ্কের কারণেই ছেলে আদিদেবকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সঞ্চালিকা। সুদীপার কথায়, ‘কিছুদিন পর হয়ত পাঠাব। 🍷তবে পুলিশ খুব সাহায্য করছে।’ পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। তবে এই ঘটনা যে এতদূর গড়াতে পারে, তা বুঝতে পারেননি বলে জানান সুদীপা।
এমনকি গো-মাংস বিতর্কের রেশ ধরে কেউ কেউ সুদীপার ৫ বছরের ছেলের মৃত্যু কামনা করতেও ছাড়েননি। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সুদীপার স্বামী, আদিদেবের বাবা অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। কেউ কেউ এক্ষেত্রে সুদীপার প্রয়াত মা-কে পর্যন্ত 🥃আক্রমণ করতে ছাড়েননཧি।
তবে🗹 কিছুদিন আগেই গো-মাংস বিতর্কে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন সুদীপা। ঠিক কী কারণে ভুল হয়েছে, সেটাও বিশদে জানিয়েছিলেন। সুদীপা বলেছিলেন, ‘এটা যখন আপনাদের মনে এত আঘাত দিয়েছে, নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর কারোর। তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। আশাকরি আগামী দিনে এটা আমি মনে রেখে, মাথায় রেখে চলব। এধরনের কিছু ঘটলে সাবধান হব অনেক বেশি। তবে আমার না সত্যিই মাথায় আসেনি এটা হতে পারে!’
ঠিক কী কারণে গণ্ডোগোল, কোথায় ভুল হয়েছে তা জানাতে গিয়ে সুদীপাဣ বলেছিলেন, ‘তারিন জাহান অনুষ্ঠানটি শুরু করতে গিয়ে (যে ভিডিয়ো ক্লিপটি আপনারা দেখছেন) সেখানে ভুলবশত বলে ফেলেন, যেটা হয়না ক্যাজুয়ালি বলে ফেলা, যে সুদীপা আজকে তোমায় আমি গোরুর মাংস রান্না করে খাওয়াব। অ্যাকচুয়ালি তারিণ আর আমি খুব বন্ধু। খুব সুন্দর আড্ডা দিচ্ছিলাম, বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। তখন ও একজন বন্ধুকে ওয়েলকাম করতে গিয়ে কথাটা বলে ফেলছে, কিন্তু বলেই ও সঙ্গে সঙ্গে কারেক্ট করে বলেছে, আমি আজকে আপনাদের সবার জন্য গোরুর মাংসের কোফতা রান্না করব।’
সুদীপার দাবি, 'এটা হয়ত কোনওভাবে এডিটরের ভুল হবে, এইরকম ভুল আমরা প্রায়ই বলি। যেকেউ অ্যাঙ্কররা বলে, পরে সেটা এডিটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এটা তারিণ জাহান ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন তা কিনᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্তু আমি মনে করি না অন্তত। কেউ এটা করে না। আর আমি তো সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম। কারণ আমি জানি, এই অংশটা বাদ যাবে এডিটে। (একটু থমকে দাঁড়িয়ে!) সেটা কোনওকারণে বাই মিসটেক সেটা হয়নি। তার দায় তো আমার উপর বর্তায় না না?’