তিনদিন আগে মাকে হারিয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ রোগভোগের পর গত ২০শে জানুয়ারি প্রয়াত হন, সুদীপার মা দীপালি মুখোপাধ্যায়। আজ (মঙ্গলবার) মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়া সারলেন রান্নাঘর-এর সঞ্চালিকা। হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুসারে চারদিনের মাথায় মায়ের শ্রাদ্ধ-শান্তি সারলেন সুদীপা এবং তাঁর পুত্র আদিদেব। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তুমুল ট্রোলিং-এর মুখে অভিনেত্রী। আরও পড়ুন-‘তোমায় ছাড়া মাগো..’! দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত সুদীপ꧙ার মা, কান্না থামছে না অভিনেত্রীর
ফুল-মালা দিয়ে সাজানো মায়ের ছবি রাখা চেয়ার। সেই ছব♍ির সঙ্গেই সেলফি তুলে বিদ্রুপের মুখে সুদীপা। মঙ্গলবার দুপুরে মৃত মায়ের ফুলমালা সাজানো ছবির সঙ্গে নিজস্বী পোস্ট করেন সুদীপা। পরনে লাল-পাড় সাদা শাড়ি। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। চুল উসকো-খুসকো। এরপর একটি রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী। সেখানে দেখা গেল, ছেলেকে নিয়ে মায়ের শ্রাদ্ধ-শান্তির কাজ সারছেন সুদীপা।
এই ভিডিয়ো দেখে চোখ-ছানা বড়া নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। তাঁদের প্রশ্ন, 'মনের দুꦉঃখ কি আজকাল রিল ভিডিয়ো বানিয়ে বোঝাতে হচ্ছে?' একজন লেখেন, ‘এগুলো শো-অফের জিনিস?’ এক জনৈক লেখেন, ‘এটা ভিডিয়ো করার মতো জিনিস? আপনার কষ্ট হচ্ছে, সেটা লোককে ভিডিয়ো করে দেখাচ্ছেন? আজব আপনি! আপনার মা চলে গেছেন, সেখানে আপনার মনের অবস্থা ভিডিয়ো করে পোস্ট করার মতো আছে?!’
যদিও শুভাকাঙ্খীরা সুদীপার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের পালটা দাবি, ‘অপছন্দের হলে এড়িয়ে চলুন,✤ এত কথা বলার কী আছে!’ সুদীপা নিজে অবশ্য ট্রোলিং-এর পালটা জবাব দেননি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সদ্য মা হারা অভিনেত্রী। শুধু ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনুরাগীদের। তিনি লেখেন, ‘আমি সকলের কৃতজ্ঞ, আপনারা যে বার্তা, ফুল এবং সমবেদনা জানিয়েছেন আমার মায়ের মৃত্যুর পর তার জন্য। আপনাদের সমর্থনই এই কঠিন সময়ে চলার পাথেয়। আপনারা ভরসা জুগিয়েছেন গোটা পরিবারকে’।
গত বছর মে মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মা। তিন-মাস যেতে না যেতেই ম্যাসিভ সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় তাঁর। তারপর দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন দীপালি দেবী, তাঁর একাংশ পক্ষাঘাতের জেরে অসাড় হয়ে যায়। তবুও লড়াই চালালেন মাস কয়েক। সোশ্যাল মিডিয়ায় শনিবার মায়ের মৃত্যু সংবাদ জানান ﷽সুদীপা। ভার্চুয়াল ফুলে সাজানো মায়ের একটি ছবি পোস্ট করেন সুদীপা, সঙ্গে যোগ করেন রবি ঠাকুরের ‘তবু মনে রেখো’ গানের দু-লাইন। লেখেন-'যদি থাকি কাছাকাছি- দেখিতে না পাও…'।