থ্রেট কালচার যে শুধু হাসপাতালগুলোতে নয়, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও বর্তমান, তা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করল, শনিবার রাতে এক হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার চেষ্টা꧟র ঘটনা। যা সামনে আনলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। আর এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিনোদন জগত।
কী লিখলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী?
সুদীপ্তা চক্রবর্তী এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে এই দুঃসংবাদ দেন। ঠিক কী ঘটেছে? অভিনেত্রী তাঁর পোস্টে লেখেন, 'আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেশশজ্🃏জা শিল্পী (নাম গোপন রাখা হল), আমার হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে যার আসা, এই মুহূর্তে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে শুয়ে। সুইসাইডনোট লিখে রেখে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কোন রকমে ঠেকানো গেছে। ওকে বা💦ঁচানো গেছে। চিকিৎসা চলছে। সন্ধ্যে বেলা মেসেজ করে আমার সাহায্য চেয়েছিল। ক্লাসে ছিলাম। সময় মতো উত্তর দিতে পারিনি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।'
তিনি এদিন আরও🅷 লেখেন, 'কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই মুহূর্তে 💜আমার চোখের সামনে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো তনু,কথা দিলাম।'
জানা যাচ্ছে, হেয়ার ড্রেসার গিল্ড ও ফেডারেশনের সঙ্গে এক মতবিরোধের কারণে একের পর এক কাজ কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল। হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়,পরিবার ছিল চরম অর্থকষ্টে। শনিবার তিনি স💟েই অভিযোগ জানিয়ে গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। আটকায় তাঁর মেয়ে। হাসপাতালে ছুটে যান পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, মানালি দে, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা। 🧔
আরও পড়ুন: ট্রেনের লম্বা সফরে এসরাজ সঙ্গী! শিল্পীর ‘জীবন খাতা𓄧র প্রতি পাতা’🍒র সুরে মুগ্ধ যাত্রী থেকে নেটিজেনরা
আরও জানা গিয়েছে, ওই কেশসজ্জা শিল্পী মাস তিনেকের জন্য গিল্ড থেকে সাসপেন্ড হন। কিন্তু তারপর কাজে যোগ দিলেও, নির্দেশ ছিল তিনি নিজে কাজ জোগাড় করতে পারবেন না। 🥃রবিবার মৈনাক ভৌমিকের আগামী ছবির লুক সেট ছিল। যে কাজ জোগাড়করেছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁর কাছে ফোন আসে, গিল্ড থেকে বলা হয়েছে তাঁকে যেন কাজটি না দেওয়া হয়। এর পর তিনি (অভিযোগকারিনী) যোগাযোগ করেন ফেডারেশন সম্পাদকের সঙ্গে। সেখান থেকেও বলা হয়, গিল্ড ফোন করে তাঁকে অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আর তারপরেই নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই মহিলা শিল্পী।