ফের শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে মোদী সরকার। প্ররোচণামূলক টেলিভিশন প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ❀ব্যর্থতা নিয়ে হতবাক সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালত জানায়, উস্কানি দিচ্ছে এমন টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা সংবাদের উ🦄পর নিয়ন্ত্রণ আনা অত্যন্ত জরুরি যাতে দেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
২৬ জানুয়ারি দিল্লি ও সংলগ🔯্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গে টেনে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই ধরণের খবর পরিবেশনের সময় সঠিক তথ্য তুলে ধরা খুব জরুরি। কেন্দ্রের আনা তিনটি নয়া কৃষিবিলের বিরোধীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর ব়্যালি বার করেছিল প্রতিবাদী কৃষকরা। শান্তিপূর্ণ ব়্যালি কয়েক মিনিটের মধ্যেই হিংসাত্মক বিক্ষোভের আকার নেয়। ট্র্যাক্টর উলটে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। তবে বেশ কিছু স💞ংবাদমাধ্যমে বলা হয়, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের।
দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এদিন কেন্দ্রের প্রতিনিধি, সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে জানান, সত্যিটা হল বেশকিছু অনুষ্ঠান রয়েছে যার মধ🌺্যে প্ররোচণার ইঙ্গিত থাকে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কিছুই করছে না। এই ডিভিশন বেঞ্চের অংশ ছিলে🃏ন বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মমণ্যম।
করোনা অতিমারীর একদম শুরুর দিকে গত বছর মার্চে দিল্লিতে নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জ🐬ামাত আয়োজিত সমাবেশ নিয়ে পরিবেশিত সংবাদ নিয়ে চলা মামলার শুনানি চলাকালীন এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
দেশ-বিদেশ থেকে আসা বহﷺু জামাত সদস্য দিল্লিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বিদেশি জামাত সদস্যরা এসেছিলেন ইরান ও কাজাখস্তানের মতো করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে। এরপর বহু সংবাদমাধ্যমে দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়বার মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় তবলিঘি জামাত কর্মীদের। এই মর্মেই এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, একটা নির্দিষ্ট জাতি বা ধর্মের মানুষকে প্ররোচণা দিচ্ছে এমন প্রোগ্রাম সম্পর্কে কোনও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ সরকার।