সাড়ে চার বছর হল স্বামী চলে গিয়েছেন, কিন্তু এখনও তাঁর চলে যাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি ইরফান-পত্নী লেখিকা-প্রযোজক༺ সুতপা শিকদার। টাইমস এন্টারটেইনমেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিনেতার মৃত্যুর পর ছে♉লেদের নিয়ে তাঁর জীবন কঠিন হয়ে উঠেছে সেই কথাই ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ইরফান খানকে ছাড়া তাঁর প্রতিদিন কাটে লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে।
ইরফান খানের মৃত্যু প্রসঙ্গে সুতপা শিকদার বলেন, ‘শৈল্পিকভাবে আমি একটি বই লেখার চেষ্টা করছি। আমি একটা ছবির স্ক্রিপ্ট লেখারও চেষ্টা করছি। বইটা ইরফানকে নিয়ে, তবে সিনেমাটা ওঁকে নিয়ে নয়। ইরফানক🅰ে নিয়ে লেখা এই বই প্রচারমূলক ধরণের নয়, বা ইরফান কী কী অর্জন করেছেন সেই বিষয়ে নয়। এটা ও𓆏ঁর এবং আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া মজাদার সব ঘটনা নিয়ে। কিন্তু আমি মানসিক ভাবে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়েছি। ইরফান চলে যাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে এত সময় লাগবে ভাবিনি। সাড়ে চার বছর হয়ে গেল তিনি চলে গেছেন, কিন্তু আমি আগের মতো উদ্দীপনা নিয়ে নিজের কাজে ফিরতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: সইফের ছেলের সঙ্গে পলকের প্রেমে গুঞ্জন, ‘আর মাথা ঘামাব কে🍒ন?’ মুখ খুললেন শ্বেতা!
সুতপা আরও জানান, লেখালেখি তাঁর আগ্রহ একমাত্র বিষয়৷ তবে আবেগে স্থির হয়ে যাওয়ায় তিনি ঠিক করে লিখতেও পারছেন না এখন৷ ইরফান খানের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠা তাঁর পক্ষে কতটা কঠিন তাও তিনি বলেন। লেখিকা কথায়, ‘আমি তিন বছর ধরে কিছু লিখিনি কারণ আমার মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। আমার পৃথিবী ওলোটপালোট হয়ে গিয়েছিল। ইরফানের প্রয়াণে আমি পুরোপুরি ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। এটা আমার জন্য খুব, খুব কঠিন ছিল কারণ এটা শুধু স্বামীকে হারানোর বিষয় নয়, ৩৪ বছরের সঙ্গীকে হারানো। ওঁর এই না থাকার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমার জন্য একটা বড় লড়াই ছিল। আমি কেবল এই শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি এখনও। ইরফানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন ছিল যে আমরা অনেক কিছু শেয়ার করতাম, স্বামী-স্ত্রীর বাইরেও একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাই হঠাৎ করে সেই সংযোগ না থাকায় তা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। হঠাৎ তিনি সেখানে নেই, একজন ৩৫ বছরের বন্ধু নেই, যে কিনা আপনার সঙ্গে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা থাকতেন। এই ভাবে বেঁচ♒ে থাকা সত্যি কঠিন নয় কি?’
আরও পড়ুন: ২১ শতাব্দীর সেরা অভিনেতা💟র লিস্টে SRK-অমিতাভ নন, একমাত্র ভারতীয় বলিউডে🗹 এই খান
পাশাপাশি সুতপা এও জানান কীভাবে তাঁর সন্তানদের জন্য তিনি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানান🦩, ইরফান খানের মৃত্যুর পর আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও কীভাবে তিনি এবং তাঁর সন্তান, বাবিল খা⛄ন এবং আয়ানকে নিয়ে ধীরে ধীরে একসঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমা🗹রের চিকিৎসা চলছিল ইরফান খানের। কোলন সংক্রমণের পরে জটিলতার কারণে তিনি ২০২০ সালে মারা যান। ২০২৩ সালে ‘দ্য রেলওয়ে মেন’-এর হাত ধরে ইরফান-পুত্র বাবিল বিনোদন জগতে পা রাখেন। তাঁর অভিনয় দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হন। সুতপা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁর ক্রমাগত তুলনা করার কারণে তিনি এখনও অভিনেতা হিসাবে লড়াই করছেন।