চারিদিকে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান, কেউ বলছেন- ‘তিলোত্তমার রক﷽্ত যাবে না কো ব্যর্থ..’। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন ফের মহামিছিলে সামিল শহর কলকাতা। ২৩ দিন অতিক্রান্ত, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণের মামলায় আন্দোলন চলছে।
কলেজ স্কোয়ার থে🍸কে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘আমরা তিলোত্তমা’র পক্ষে ডাকা এই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, উষসী চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তীরা। পৌঁছেছেন অপর্ণা সেনও।
দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানালেও পথে নামতে পারেননি স্বস্তিকা। এদিন আর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলেন না। মেয়ে হিসাবে, মেয়ের মা হিসাবে উদ্বিগ্ন স্বস্তিকা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেলন, ‘সব সময় অতি সাবধান হয়ে থাকতে হয়। হসপিটালের মতো জায়গাও সেফ নয়। আজও হাওড়ায় একটা কাণ্ড ঘটেছে। এত মানুষ ২৩ দিন ধরে প্রতিবাদ ক�ꦰ�রছে, তবুও পুরুষ মানুষ এই নিকৃষ্ট কাজ করছে তারা তো কোথাউ থেকে সাহস পাচ্ছে। যে মানসিকতা থেকে পুরুষরা ধর্ষণ করছে তারা বিশ্বাস করছে যে কিচ্ছু হবে না। আমাদের দেশে নির্যাতিতাকে হয়রান হতে হয়, তবে দোষীরা পার পেয়ে যাবে’।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলে স্বস্ত♐িকা বলেন, ‘প্রথম থেকে এটাকে সুইসাইড বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বাবা-মা’কে তিন ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে…. সমস্তরকম ভিডিয়ো সামনে আসছে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। সরকারকে যে ক্ষমতা জনসাধরণ দিয়েছে, তাদের উচিত সেই ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করা। বা মেয়েরা কীভাবে সুরক্ষা পেতে পারি সেটা সিস্টেমের মধ্যে আনা। পুরুষ মানুষদের বোধহয় ফোমো ঘটছে, ও ধর্ষণ করল আমি বাদ যাই কেন! সরকারের উঠে পড়ে কিছু করা উচিত, যেখানে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মেয়ে। ভাবলেই তো শরীরটা খারাপ লাগছে যে 🎐কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে ওই মেয়েটার মৃত্যু হয়েছে'।
ধর্ষণ নিয়ে বিধানসভায় বিল পাশ করানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ভাবনাকে সাধুবাদ জানালেও স্বস্তিকা মনে করালেন-'শুধু বিল পাশ করলে হবে না, রেপ-ভিক্😼টিমকে ১০ বছর ধরে কোর্টে হাজিরা দিতে হয়, একই কথা আওড়াতে হয় তাহলে তাকে তো ততবারই ধর্ষণ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এর জন্য ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট দরকার। আমি রেপড হয়েছি এটা কেন প্রমাণ করতে হবে?'