প🃏ড়াশোনার জন্য মেয়ে থাকে অনেক দূরে। তবে তিনিও তো মা, তাই মাঝে মধ্যেই মেয়ের জন্য মন কেঁদে ওঠে স্বস্তিকার। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝে সুযোগ পেলেই তাই ছুটে যান মেয়ের কাছে। একসঙ্গে সময় কাটান। আবার অন্বেষাও পড়ার ফাঁকে ছুটি পেলে মায়ের কাছে চলে আসেন। স্বস্তিকা আর অন্বেষা, এই মা-মেয়ে জুটির সম্পর্ক কিন্তু নিখাদ বন্ধুত্বের।
এই মুহূর্তে UK-র কার্ডিফ শহরে ছুটি কাটাচ্ছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে মানি। প্রসঙ্গত, আদর করে মেয়ে অন্বেষাকে এই নামেই ডাকেন অভিনেত্রী। কাজ থেকে একটু ফাঁকা হতেই তাই তিনি ছুট্টে চলে গেলেন মেয়ের কাছে। স্বস্তিকা অবশ্য কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমেরিকাতে ছিলেন। কারণ, শিকাগোয় আয়োজিত বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা। খুব সম্ভবত, সেখান 🅰থেকেই যুক্তরাজ্যের অন্ত🧸র্গত ওয়েল্স্ এর রাজধানী কার্ডিফ-এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বস্তিকা। হৃদয়ের সবথেকে কাছের এই সম্পর্ক…, সন্তানের কাছে পৌঁছে যেন এক টুকরো স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন স্বস্তিকা।
মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তাই স্বস্তিকার ক্যাপশান, ‘গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময়ে মেঘ এবং পৃথিবীর একাধিক অঞ্চলಞের মধ্য দিয়ে স্থানান্তরের পর অবশেষে স্বর্গে পৌঁছেছি। সন্তান যেখানে থাকে সেটাই স্বর্গ। আমার ওরিজিনাল ছানাটা’।
আরও পꦛড়ুন-আম্বানিদের রূপকথার বিয়ে! অনন্ত-রাধিকার সঙ্গে মধ্যমণি, কী কথা হল? খোলসা করলেন রুক্মিণী
নিজের এই ক্যাপশানের মধ্যে দিয়ে স্বস্তিকা বোঝাতে চেয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে জটিল পথে যুক্তরাজ্যের কার্ডিღফ শহরে তিনি পৌঁছতে পেরেছেন মেয়ের কাছে। আর মেয়েই তাঁকে স্বর্গের মতোই অনুভূতি দেয়। সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন স্বস্তিকা। অধিকাংশ মায়ের কাজেই অবশ্য সন্তানের জন্য এই অনুভূতিই থাকে। আর অরিজিনাল ছানা বলতে অভিনেত্রী বুঝিয়েছেন এটা তাঁর সিনেমার পর্দারಌ সন্তান নয়, নিজের গর্ভের সন্তান।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া 'বিজয়া' ছবিতে আত্মঘাতী ছেল♋ের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। যেখানে উঠে এসেছে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা, র্যাগিং এবং এক মায়ের লড়াইয়ের গল্প। র্যাগিং, অত্যাচারের কারণে বহু মা-ই ছেলেকে আজকাল দূরে পড়তে পাঠাতে চান না। স্বস্তিকার অভিনয়, ও তাঁর ছবি 'বিজয়া' নিয়ে নেটপাড়ায় নানান আলোচনা চলছে। সকলের কথা শুনে তাই 'মা' স্বস্তিকারও তাই মনে পড়ে গিয়েছিল নিজের মেয়ের কথায়। তাঁর মেয়ে অন্বেষাও কিনা দূরে থাকেন। তিনি ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে সাইকোলজি নিয়ে মাস্টার্স করছেন। 'বিজয়া', ছাত্র মৃত্যু নিয়ে নানান আলোচনার মাঝে তাই স্বস্তিকার মনও কেঁদে উঠেছিল।
কয়েকদিন আগে ইনস্টাগ্রামে মেয়ের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘সবাই বিজয়া নিয়ে এত কিছু বলছে, সবাই নিজেদের সন্তানদের কথা বলছে, সে তারা দূরে থাক বা কাছে, আমারটাও কত দূরে থাকে, সবার কথা শুনে আমারও মন কেমন করছে… কতদিন দেখতে পাই না, ওই ভিডিয়ো কলটাই জীবন এর ধন।’ ফের লেখেন, ‘মাম্মাই- সোনা মেয়ে ไআমার @anwesha24 । পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মেয়ে। মায়েরা একইরকম, কোথাও গিয়ে আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছি।’
শুধু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টই নয়, এবার মেয়ের জন মন কেমনে সন্তানের কাছে ছুটে চলে ꦍগেলেন স্বস্তিকা।