বরাবরই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সমাজপ্রেম নজর কাড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তা সে করোনার সময় প্রথম সারি-তে এসে লড়াই করা হোক, বা পথপশুদের জন্য সা🐻হায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তবে এবার অভিনেত্রী এমন একটা কাজ করলেন, যাতে প্রশংসায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে ফুটপাথে বসে ভাত খাচ্ছেন ভারতের এই নামি নায়িকা। সঙ্গে টিম ফুডকা।
তবে এই ফুটেজ ফুড ভ্লগিংয়ের হলেও, এর পিছনে রয়েছে গভীর এক উদ্দেশ্য। যা এতটাই মহৎ, যে কার🍃ও চোখে এনে দেবে জল। যে ছেলেটি এই হোটেলটি চালায় তার নাম সাগর। বয়স মাত্র ১৯। ফুটপাথে চলা আর পাঁচটা পাইস হোটোলের মতোই এটি খোলা হয়েছে সংসার চালাতে।
ফেসবুকে ‘Bhokkad Foody’ পেজ থেকে একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, বাবা মা কে হারানো ১৯ বছর বয়সী সাগর একার হাতে চালায় কোলকাতার ফুটপাথের এই পাইস হোটেলটি। নিজেই রান্না করে, নিজেই বাসন মাজে, খাবার পরিবেশন করে বাজার করে। এই পেজের তরফেই সꦅাগরের প্রথম ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। আগে সাগরের বাবা এই দোকানটি চালাতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে ১৯ বছরের ছেলেটি সেটি ফের খুলেছেন। এক বোন আছে। সে পড়াশোনা করছে। নিজেও কম্পিউটারের ক্লাস নিচ্ছেন সাগর। এখন চোখে স্বপ্ন, বাবার নামে একটি রেস্তোরাঁ খুলতে চান শহর কলকাতাতে।
স্বস্তিকার সাগরের দোকানে আসা মন কেড়ে নেয় নেট-নাগরিকদের। প্রশংসার সুর অভিনেত্রীর জন্য। একཧজন কমেন্টে লিখলেন, ‘নন্দিনীদের মতো মেয়েদের না দেখিয়ে সত্যিই একটু বিখ্যাত করা হোক ছেলেটিকে। সংসার চলুক।’ অপরজন লিখলেন, ‘নন্দিনীর দোকানে ৪-৫টা কাজের লোক। তাও কত ঝামেলা। আর এখানে কত শান্তিতে খাবার খাওয়ার সুযোগ রয়েছ🌱ে।’
‘Bhokkad Foody’ পেজ থেকে লেখা হল, ‘২৪ ডিসেম্বর আমাকে প্রথমবার আমাকে পেজে ম্যাসেজ করে যে, দা🐲দা আমার একটা ছোট্ট পাইস হোটেল আছে, আমার বাব-মা কেউ নেই। কাকা-কাকিমা আমাকে মানুষ করেছে। আমি আপনার ভিডিয়ো খুব পছন্দ করি, পারলে এক বার আমার দোকানে এসো। আমি বলেছিলাম, ভাই নিশ্চই যাবো তোমার দোকানে। ২৯ ডিসেম্বর তারিখে আমি ওর দোকানে যাই, প্রথমবার ও কোনও ক্যামেরা ফেস করছিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘পরশু দিন জানলাম, #Tollywood অভিনেত্রী #Swastika_Mukherjee ওর দোকানের খাবার খেয়ে ওকে খুব সবাসি দিয়েছে এবং ওর ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। জেনে খুব ভালো লাগল, আর এখন তো ক্রিয়েটরদের ভিড় সাগরের চারিদিকে। এরকম একটা মানুষকে সাহায্য করে আমার খুব আনন্দ লাগছে।💧 আপনাদেরও অনুরোধ করবো যে সাগরের মত মানুষ যারা পরিস্থিতির কাছে হার মানেনি তার পাশে গিয়ে একটু দাড়ান যাতে ছেলেটা মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে।’