শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। কয়েকদিন বাংলাদেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর অবশেষে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তারপরেও বাং🤪লাদেশ এখনও পুরোপুরি শান্ত হয়নি। চারিদিক থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে। হিন্দুদের উপরও অত্যাচারও বন্ধ হয়নি। এখনও দেশের মানুষ তাঁদের বাক স্বাধীনতা ফিরে পাননি। আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ প্রতিবাদী লেখিকা তসলিমা। ফের একবার ফেসবুকের পাতায় প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন তিনি।
ঠিক কী লিখেছেন তসলিমা নাসরিন?
চির নির্ভীক তসলিমা লিখেছে🎐ন, ‘শেখ হাসিনাকে কি কম গালি দিয়েছি বাক স্বাধীনতাকে তিনি গলা টিপে মেরেছেন বলে? এখন তো বাক স্বাধীনতার ব-ও নেই কোথাও। গালি তো আর জানিনা, এখন কী দেব?ꦓ’
আরও পড়🐷ুন-'এই দেশ ছাড়ব না…', প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন বাংল▨াদেশের হিন্দুরা, কী বলছেন বাঁধন, তসলিমা?
তসলিমা নাসরিনের এই পোস্টের নিচে তাঁর সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন বহু নেটনাগরিক। এক ভারতীয় নেটিজেন নতুন বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘এখন সব স্বাধীনতাই পেয়ে গেছে। গালি দিয়ে দেওয়াল লিখন হচ্ছে কেউ বাধা দিচ্চে না। ভাঙচুর করেছে কেউ বাধা দিচ্ছে না। স্লোগান দিচ্ছে গ෴ালি দিয়ে কেউ বাধা দিচ্ছেন। ছাত্ররা কি করছে এখন তো শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। ছাত্ররা প্রধানমন্ত্রী কে গদিচ্যুৎ করেছে এতই শক্তিশালী তাহলে দুর্বৃত্ত ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে কেন আন্দোলন করছে না?’ আরও একজন লিখেছেন, ‘ছাত্রদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে, দুটো দেখাবার জন্য রাখা হয়েছে পরে ও দুটোও থাকবে না।’ কারোর দাবি, 'হাসিনা মন্দের ভালো ছিল।' এমনই তসলিমা নাসরিনের সমর্থনে বহু মন্তব্য উঠে এসেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের কথাতেও বেজায় ক্ষিপ্ত তসলিমা মহম্মদ ইউ🅰নুসকে নিয়েও তিনি ফেসবুকের পাতায় সরব হয়েছেন। তসলিমার প্রশ্ন, ‘জেন জি আর ইউনুস নবী গং কি বলতে চাইছে ১৯৭১-এ মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি? দেশ স্বাধীন করেনি? বাংলাদেশ নামের নতুন একটি স্বাধীন দ🌌েশের জন্ম দেয়নি? তারা মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ইতিহাস নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে। এ অনেকটা নিও নাৎসিদের মতো, তারা অস্বীকার করতে চায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলে কিছু ঘটেছিল এই বিশ্বে।’
তসলিমার এই পোস্টে শেখ মিজান নামে এক বাংলাদেশের নাগরিক লিখেছেন, ‘সঠিক বলেছেন৷ তবে বুঝসম্পন্ন একটি প্রজন্ম সব বিষয় মনিটরিং করছেন৷’ এমন মন্তব্𒉰যে শেখ মিজান নামে এই ব্যক্তিকে উত্তর দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করতেও ছাড়েননি তসলিমা। তিনি লেখেন, ‘শেখ মিজান🐲, করছেন যদি তাহলে সব জাদুঘর সব স্মৃতি সৌধ, মনুমেন্ট সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাচ্ছেন না কেন?’
এক ভারতীয় নাগরিক লিখেছেন, ‘ব ভাল। ইতিহাস পরিবর্তন করে প্রমাণিত হবে মৌলবাদের জয়। যদি, ভারত সরকার ১৯৪৭ সালের মানচিত্র ভিত্তি করে ভূগোল🅠 পরিবর্তন করে পৃথিবীর কোনো শক্তি আছে তার চ্যালেঞ্জ করবে। অবান্তর ও অবাঞ্চিত আলোচনা ত্যাগ করে, বাস্তববাদী হওয়া উচিত।’ কেউ তসলিমার মতোই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘একটা অশিক্ষিত ধর্মান্ধ সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণ করা কি সম্ভব! তাছাড়া, উনি কি নিজেই অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার অধিকারী?’ কেউ আবার তসলিমাকে সমর্থন করে লিখেছেন, 'একদম সত্যি প্রিয় লেখক, সত্যি তুলে ধরার জন্য
আপনার অবদান ইতিহাসে লেখা থাকবে। সত্য গুলো꧃ আরও তুলে ꦺধরবেন, আমরা স্বাধীনতার পক্ষে আপনার সত্যের পক্ষে আছি এবং থাকবো।'