হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। যাꦏর ছাপ এসে পড়েছে ভারতবর্ষেও। সঙ꧅্গে চিরাচরিত পড়শি দেশের মানুষদের ‘ভারত-বিদ্বেষী’ কথাবার্তা তো আছেই। ফলে বেশ উত্তপ্ত আপাতত দুই দেশের আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক।
প🔜্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। আর ৮ অগাস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনূস। ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন এই ইউনূস। তাঁর সময়ে যে বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সে দেশের সংখ্যালঘু বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই পড়শি দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লির সেই বিবৃতির জবাবে বাংলাদেশ জানায়, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি নিয়ে ভারত সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে সেটা ভিত্তিহীন। এবং দুই পড়শি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের অপরিপন্থী।’
ঢাকার এই বিবৃতি আসার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল তসলিমা নাসরিনের একটি পোস্ট। তিনি বরাবরই, জন্মভূমিতে চলা অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতো করে। এমনকী ইউনূসের ব🅠িরুদ্ধে মুখ খুলতেও করেননি দ্বিধা। এবার তসলিমা সরাসরি লিখলেন, ‘ইউনুস এবং তাঁর জঙ্গি বন্ধুরা প্রচণ্ড ভারতবিদ্বেষী’।
🧜বাংলাদেশের এই লেখিকা ফেসবুকে লিখলেন, ‘ইউনুস এবং তাঁর জঙ্গি বন্ধুরা প্রচণ্ড ভারতবিদ্বেষী। ভারত যদি চাল ডাল পেঁয়াজ রসুন আলু পটল নুন চিনি গরু খাসি পাঠানো বন্ধ করে দেয়, তবে বাংলাদেশের মানুষ কী খেয়ে বাঁচে একবার দেখতে ইচ্ছে করে। যদি জল বন্ধ করে দেয়, যদি বিদ্যু𝔉ৎ বন্ধ করে দেয়?’
তিনি নিজের পোস্টে আরও জুড়লেন, ‘যদি ওদিকে ট্রাম্প এমবারগো দেয়? ট্রেড বন্ধ করে দেয় যদি? জঙ্গি ꦓপোষার অপরাধে যদি পাশ্চাত্যের দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি-পোশাক না কেনে? একবার দেখতে ইচ্ছে করে মানুষ কীভাবে ও-দেশে জ ঙ্গি-পেশা কনটিনিউ করে।’
তবে দেখা গেল, তসলিমার এই পোস্ট নিয়ে প্রতিবাদে সরব তাঁরই দেশের মানুষ। যদিও তিনি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশ ছাড়া। আপাতত ভারতের দিল্লিতেই থাকছেন। তসলিমার পোস্টে একজন মন্তব্য করলেন, ‘১৭ কোটির দেশের সঙ্গে ট্রেডিং বন্ধ করবেনা ভারত এটা সবাই জানে, আর বাংলাদেশের সস্তা গার্মেন্টস পণ্য যুক্তরাষ্ট্রও বন্ধ করবে না, আন্তর্জাতিক ব্যবসার নিয়মই তাই।’ আরেকজন লেখেন, ‘আপনি কথাগুলো এমনভাবে বলছেন যে ভারত আমাদের এসব রিলিফ হিসেবে দেয় এবং আমরা এগুলো পেয়ে খেয়ে দেয়ে নিজেদের জীবন ধন্য করি / বছরের পর বছর আমরা নগদ টা🅰কা পরিশোধ করে মাল কিনে এসব ভোগ করি / মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে কেউ কারো গোলাম নয় / ভারত পন্য বিক্রি না করলে আমরা বিকল্প দেশ খুঁজে নেব।’
অপর আরেক বাংলাদেশী লিখলেন, ‘আপনি মনে হয় খেয়াল করেননি, পশ্চিমবঙ্গের হোটেল-মোটেল বিপনিবিতানগুলো🌳 বসে গেছে-বাংলাদেশীরা ওখানে যাচ্ছে না বলে। হাসপাতালগুলোর ব্যবসা কমে গেছে-বাংলাদেশী রোগী কমেছে বলে। আর যা বলছেন, ভারত কখনই এসব পাঠানো বন্ধ করবে না, ওরা বরং কান্না করছে তাদের ব্যবসার সহজ যে রাস্তা ছিল, সেই তাবেদার সরকারটা চলে গেছে বলে। এখন ব্যবসা ভারতের জন্য সহজ হবে না-এটা তাদের মাথা ব্যথা। আর বাংলাদেশীরা তো কিনে খায়, বাজারের অভাব হবে না। আর জঙ্গী𝐆-সব দেশেই আছে, এদেশের মানুষই তা দমন করবে।’