কর্মক্ষেত্রে হয়রানির অভিযোগ এনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন টলিপাড়ার কেশসজ্জা শিল্পী। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল টলিউড। সোমবারই এবিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (DAEI) তথা ডিরেক্টরস গিল্ড। তাঁদের বিবৃতিতে ফেডারেশন ও তাদের চাপিয়ে দেওয়া অকারণ নিয়মের বেড়াজাল নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। আর এবার ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিবৃতি দিল টেলিভিশনের প্রযোজকদের সংস্থা WATP (The Welfare Association of Television Prod🐠ucers)।
দ্যা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন প্রডিসারস (WATP)-এর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'গꦗত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আমাদের সহকর্মী শ্রীমতী তনুশ্রী দাস গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর কন্য অঙ্কিতা দাস,এমতবস্থায় তনুশ্রীতকে উদ্ধার করেন ও হাসপাতালে নিয়ে যান। তার ও চিকিৎসকদের তৎপরতায় তন🃏ুশ্রী এযাত্রায় বেঁচে যান। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তিনি অপেক্ষাকৃত বিপদমুক্ত এবং পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছেন। তবে এই ঘটনাকে নেহাতই একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ভাবলে ভুল হবে। তাই এই বিষয়টির উপর সর্বসাধারণের জন্য আমাদের তরফে খনিক আলোকপাতের প্রয়োজন।'
WATP আরও জানিয়েছে, ‘তনুশ্রী শুধু আত্মহত্যার চেষ্টা করেননি, বলা ভালো করতে বাধ্য হয়েছেনꦗ। হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের আইবিরুদ্ধ দাদাগিরি ও তাদের মাথার উপর বসে ফেডারেশনের থ্রেট কালচারের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছেন। এই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এমন তনুশ্রীরা একা নন, শত শত কলাকুশলী, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী এই থ্রেট কালচার ও দুর্নীতির শিকার। কিছু মানুষ চাপের কাছে মাথা নিচু করে কোনওরকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বাকিরা হয়ত তিলে তিলে তনুশ্রীর পথে এগোচ꧙্ছে।’
আরও পড়ুন-কদর্য ভাষায় আক্রমণ, লাগাতার হুমকি, পু🔜লিশকে জানানোর পরও তারা নির্বিকার, অভিযোগ রূপার
WATP তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘ভাবতে অবাক লাগে একটা স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে আইন মেনে কাজ করার কথা বলতেও মানুষের সাহস লাগে। আমরা যারা ছবি, ধারাবাহিকস বিজ্ঞাপন আর OTT প্রযোজনা করি , তাদের প্রতি মুহূর্তে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার থ্রেটের মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়। টেলিকাস্ট বন্ধ হলে বিপুল অর্থের ও আইনি ক্ষতিপূরণের ভয়স অথএব মুখ বন্ধ আর হাত জোড়। Right To livelihood, Right to Association-এর মতো এখানে সাংবিধানিক অধিকারকে হেসে উড়িয়ে দেওয়া হয়। সারাদেশে যখন মাননীয় কম্পিটিশন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যকা দিয়ে কাজ করা হয়, এইসব আইনি নির্দেশকে এই ফেডারেশ এবং তার ছত্রছায়য় বেড়ে ওঠা গিল্ডগুলি মশকরা বানিয়ে রেখে দিয়েছেন। এখানে সংবিধান বা আদালতের নির্দেশ নয়, আইন তৈরি করেন তারা নিজেরা, নিজেদের সুবিধার্থে, তাতে রাজ্যে শিল্প হল বা নাহল, তাতে কারোর কিছু এসে যায় না। একাধিক দেশি-বেদিশি সংস্থা এভাবে বাংলায় শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন। বাকিরা একান্ত দরকার না হলে এড়িয়ে চলেন। বেঁচে আছি শুধু আমরা যাঁরা বাংলা ভাষায় কাজ করি বলে ব💝াংলার বাইরে কাজ করার গতি নেই, তারা।’
এখনেই শেষ নয়, এꦰই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘বিনিয়োগকারী প্রোডাকশ♐ন কোম্পানি হিসাবে আমাদের ভূমিকা খানিকটা কাঠেj পুতুলের মতো।…’
ꦇবি𒁏বৃতিতে আরও লেখা হয়, ‘যারা সেই দলবাজিতে থাকেন, তারা ফুলে ফেঁপে ওঠেন। বাকিরা মুখ বুজে মানতে, আর অপমান সহ্য করতে করতে একটু একটু করে তনুশ্রীদের রাস্তায় এগিয়ে চলেন। আর এজনের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে বলে বিষয়টি খানিকটা হলেও সামনে আসছে। ভবিষ্যতে যদি এমন বাকি তনুশ্রীরা চাপের কাছে মাথা নুইয়ে হার মেনে নিয়ে চরম পথচি বেছে নেন। আমরা তখনও নিজেদের ক্ষমা করতে পারব তো?….
চরম কিছু হওয়ার আগে একাধিক ইঙ্গিতকে এড়িয়ে যাওয়াই বোধহয় আমাদের অভ্যাস 💯হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আর নয়। অন্তত চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক, বিজ্ঞাপন, OTT-র প্রযোজনা সংস্থা হিসাবে আমাদের এবার সামনে এগিয়ে এসে⛄ সত্যি কথা বলতে হবে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। থ্রেট কালচারে আমাদের আর চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। আইন মেনে সংবিধান মেনে কাজ হবে। শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতেই কাজ পাবেন। বাধা এলে জনস্বার্থ মামলা হবে।'
প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, ‘বিষয়টি একটু তলিয়ে দেখা হোক। যেকোনও মুহূর্তে আমরা আলোচনার মধ্যে দিয়ে যেতে রাজি। আমাদের আইন মেনে কাজ করার পরিবেশ এনে দিন। আমরাও কথা দিচ্ছি, চলে যাওয়া বিনিয়োগ আমরা ফিরিয়ে আনবই। কোনও অনুগ্রহ 🐼আমরা চাই না। যেভাবে সারাদেশে, বাকি রাজ্যে কাজ বয়। এখানেও সেভাবেই কাজ হোক। আপনাদের সমর্থন থাকলে টলিউডকে কেউ দুর্নীতিক আঁতুরঘর বানাতে পারবে না। আশা করছি আপনারা সবাই আমাদের পাশে থাকবেন।’
সবশেষে ধন্যবাদান্তে টলিউডেরꦆ একাধিক প্রযোজনা সংস্๊থার নাম লেখা হয়েছে।