বিয়ের যেন ধুম লেগেছে টলিউডে। শীত পড়তে না পড়তেই যেন ভালোবাসার উৎসব তারকাদের মধ্যে। শ্রীপর্ণা থেকে সন্দীপ্তা, সৌরভ-দর্শনা থেকে পরমব্রত-পিয়া, বিয়ের ছবি দেখে আপ্লুত নেটপাড়া। তারই মাঝে আইবুড়ো ভাত খাওয়🤪ার ছবি দিলেন অভিনেত্রী তিথি বসু। কবে বিয়ে মা ধারাবাহিকের ঝিলিকের?
শিশু শিল্পী হিসেবে কেরিয়ার শুরু তিথির। প্রথম ধারাবাহিকই এনে দিয়েছিল অপার জনপ্রিয়তা। ২০০৯ থেকে ২০১৪, প্রায়💃 ৫ বছর ধরে চলা বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় মেগা ছিল মা।
কালো কুর্তা পরেছিলেন তিথি। কানে লাল রঙের ঝুমকো। মুখ খিলখিল হাসি। পাতে সাজানো ভা༒ত, পোলাও, নানা রকমের ভাজা, মাছের মাথা, ডাল ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, মাংস, পায়েস, মিষ্টি, চাটনি, পাপড়-সহ নানা রকমের খাবার। যদিও একাই আইবুড়ো ভাত খেলেন তিথি। পাশে অন্তত হবু বরকে দেখতে পাওয়া গেল না।
ক্রিকেটার দেবায়ুধ পালের সঙ্গে দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক ছিল তিথির।༒ যদিও তা ভেঙে যায় তিথির বছরখানেক আগে। তারপর সেই সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে তিথির জবাব ছিল, ‘কোনও সম্পর্কে যখন পরিবারের হস্তক্ষেপ বেড়ে যায়, তখনই সমস্যা। মা বাবারা সন্তানের ভাল চেয়ে হয়তো এগুলো করে থাকেন। হয়তো কোথাও গিয়ে আমরা একে অপরকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে এর দোষ আমি পরিবারকে দিতে চাই না।’
তারপর থেকে আপাতত কোনও সম্পর্কেরই আভাস মেলেনি। আর এই পোস্টও আসলে প্রচারেরই একটা অংশ। বর্তমানে তিথি অভিনয়ের পাশাপাশি কর🌼ে থাকেন ভ্লগিংও। ফুড ভ্লগার হিসেবেই হয়তো খেতে গিয়েছিলেন আইবুড়ো ভাত।
তবে জনপ্রিয়তা কম বয়সে পেলেও, জীবনে এসেছে নানা ওঠাপড়া। জোশ টকসে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ছꦐিলেন তখনই তাঁর বাবা তাঁদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সামনেই জীবনের সবচেয়ে বড়♓ পরীক্ষা মাধ্যমিক। সেই সময় থেকেই তাঁকে নিতে হয়েছিল সংসারের নানা দায়িত্ব। বাড়ির ইলেকট্রিক বিল মেটানো থেকে শুরু করে কী রান্না হবে, কী বাজার হবে, সবটা সামলে পড়াশোনা চালিয়েছেন ছোট্ট তিথি। আসলে স্বামী হঠাৎ চলে যাওয়াতে ভেঙে পড়েছিল তিথির মা। তাই সবটা করতে হত তাঁকেই। এমনও দিন গিয়েছে যেদিন তিনি নুন-ভাত খেয়ে স্কুলে যান। এই ঘটনার মাস সাতেক আগেই শেষ হয়েছিল মা সিরিয়াল। কোনওরকমে সেভিংসের টাকা দিয়ে সবটা চালিয়েছেন, সংসারের খুটিনাটি থেকে স্কুলের বা টিউশনের টাকা।