নতুন ধারাবাহিকের কাজ শুরু। শ্যুটিং ফ্লোরেই দিন কেটে যাচ্ছে তাঁর। তিয়াসা লেপচার। তার সঙ্গেই নতুন বাড়ি সাজিয়ে তোলার ব্যস্ততা। সব মিলিয়ে দম ফেলার ফুরসৎ কোথায়! তবে কি পুজোর চারটে দিনও এ ভ✱াবেই কাটিয়ে দেবেন 'কৃষ্ণকলি'? প্রশ্ন শুনেই তাঁর উত্তর, 'একেবারেই না! পঞ্চমী পর্যন্ত কয়েকটা পুজো উদ্বোধন করব। তার পরেই সোজা বাড়ি। গোবরডাঙায় পারিবারের সবার সঙ্গে চারটে 🐈দিন হইহই করব।'
কর্মসূত্রে শহর কলকাতাই তাঁর বর্তমান ঠিকানা। তবে উৎসবের দিনগুলিতে নিজের জায়গায় ফিরে যান তিয়▨াসা। শহুরে জাঁকজমক থেকে দূরে কাছের মানুষদের সঙ্গে আনন্⛄দে মেতে ওঠেন। তাঁর কথায়, 'আমি আগাগোড়াই মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসি। পুজোর সময় নিজের জায়গায় যাব না? পারিবারের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ আছে।'
পেশার তাগিদে সারা বছর খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানতে হয়♋। তবে পুজোর সময় ছাড় পাওয়া যায় কিছুটা। আর তখনই ইচ্ছা মতো পদ দিয়ে চলে রসনাতৃপ্তি। অভিনেত্রী বললেন, 'আমার ট্রেনারের কথা মতো পুজোয় সারা দিন ফল খেয়ে কাটাব। আর রাত হলেই মন ভরে বিরিয়ানি 𒅌খাব। ওই একটা জিনিস ছাড়া আমার একদম চলবে না!'
কলকাতায় নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন তিয়াসা। আপাতত নতুন বাসস্থানকে সাজিয়ে তুলছেন মনের মতো করে। পাশাপাশি চলছে ধারাবাহিকের কাজ। সব সামলে পুজোর কেনাকাটার সময় কোথায়! অবশ্য তা নিয়ে আফসোস নেই তাঁর। তিয়াসার কথায়, 'আমার সাজ নিয়ে এখন আর ভাবছি না। নতুন বাড়িটাকে মনের মতো করে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।
(আরও পড়ুন: ফের একসঙ্গে নিখিল-শ্যামা! স্টার জলসার পর্দায় ফিরছে ‘কৃষ্ণকলি’ জুটি)
সব মিলিয়ে নিজের মতো করে ভালো আছেন পর্দার শ্যামা। চলতি বছরে সুবান রায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও উৎসবের দিনগুলিতে অতীত নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। তাঁর কথায়, 'একসঙ্গে আমরা ভালো ছিলাম না। ভালো থাকার জন্যই দু'জনে ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তা হলে আর সেটা নিয়ে মন খারাপ করা তো নিরর্থক। তাই না?'
(আরও পড়ুন: তিয়াসার সঙ্গে ডিভোর্সের চার মাসের মধ্যেই ফের বিয়ের পিঁড়িতে সুবান?)
আপাতত দিন গুনছেন তিয়াসা। পঞ্চমীর রাতেই রওনা দেবেন গোবরডাঙার উদ্দেশ্যে। কাছের মানুষদের নিয়ে হইহই করে কাটাবেন পুজোর ক'টা দিন🦩।