করোনায় লকডাউন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে বাচ্চাদের মনে। স্কুল বন্ধ, বন্ধুদের সঙ্গে খোলাধুলো বন্ধ, পরিবারের সঙ্গে ঘোরাঘুরিতে বাধা নিষেধ থাকায় বাড়িতেই মন খারাপ করে বসে রয়েছে একরত্তিগুলো। কিছুদিন আগে এরকমই মন খারাপের আঁচ মিলেছিল ছোট্ট ফেলনা ওরফে মেঘন চক্রবর্তী-র ছবিতেও। যদিও আবার ছবি শেয়ার করে মেঘন জানিয়েছেন, সবাই তাঁকে হাসতে বলেছিল। তাই সে আবারও হাসিখুশি থাকারই চেষ্টা করছে। মেঘন চক্রবর্তী নিজের সারল্য দিয়ে মন জয় করে নিয়েছে বাংলার মা-কাকিমাদের। এই ছোট্ট বয়সেই তার দারুণ জনপ্রিয়তা। মেঘনের ইনস্টাগ্রাম পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। মন খারাপ কেন ছিল মেঘনের? আসুন সেটাই দেখে নেওয়া যাক। একরাশ অভিযোগ জড়ো হয়েছে টলিউডের এই খুদে অভিনেতার মনে। ‘আর কি ভালো লাগে? করোনা কত জেঠু, কাকু, দিদিদের কেড়ে নিল। কত কাছের লোকদের কষ্ট দিল। বাবা তো এখনও কষ্ট পাচ্ছে, মা বাবার জন্য চিন্তা করছে। বন্ধুদের সঙ্গে খেলা, সে তো দু বছর ধরেই নেই। দাভাই এর বড়ো ক্লাস, পড়া বেশি, খেলার সময় কম। টিচার দের সঙ্গে ভালো করে কথা বলবো কি করে ক্লাসের মধ্যে? কেউ তো কারো বাড়ি যেতেই পারে না। পড়া সব করেও, কতক্ষন youtube kids, Netflix kids দেখতে ভালো লাগে? বন্ধুদের সঙ্গে conferencing করলেও বেশিক্ষণ তো হয় না। আমার বার্বি রা, কিচেন সেট, খেলার জিনিস গুলো একঘেয়ে লাগে। কত গুলো গল্প পড়লাম। সবাই যেন কষ্টে আছে। আর কত দিন এইরকম ভালো লাগে? ধুর’, শেয়ার করেছিল মেঘন। যদিও মেঘনের এই মন খারাপ দেখে আরও মন খারাপ হয়েছিল নেটনাগরিকদের। তাই তো, সকলে মিলে ওকে বুঝিয়েছিল মন খারাপ না করতে। জলদি কেটে যাবে দুর্যোগের এই কালো মেঘ। তারপরই ইনস্টাগ্রামে হাসি মুখে ছবি পোস্ট করেছেন ছোট পরদার ফেলনা। যা মুখে হাসি ফুটিয়েছে বড়দেরও।