বিগত সপ্তাহের শেষ থেকেই ধীরে ধীরে অশান্তির পারদ চড়ছিল যা রবিবার রাতে চরম মাত্রায় পৌঁছয়। বাধ্য হয়ে সোমবার এবং মঙ্গলবার স্তব্ধ হয়ে যায় টলি পাড়া। শোনা যায়নি লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের শব্দ। ছিল না কোনও ব্যস্ততা। ফেডারেশন এবং ডিরেক্টরস গিল্ডের সমস্যার জেরে বন্ধ হয় শ্যুটিং। তবে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থায় কেটে যায় সমস্যার জট। তারপরই 🌊বুধবার থেকে সেই চেনা ছন্দে দেখা গেল টলিউডকে। সিনেমা থেকে সিরিজ বা সিরিয়াল সবের শ্যুটিং শুরু হয়ে যায় এদিন।
আরও পড়ুন: ব🐎্রহ্মাস্ত্র নয়🅷, ১১ বছরের ছোট আলিয়ার সঙ্গে প্রথমে কোন ছবি করার কথা ছিল রণবীরের?
হইচই প্ল্যাটফর্মে আসছে মহালয়া। সেটার শ্যুটিং চলে। অভিমুন্য মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন ১০০ পর্বের সিরিয়াল দেবী কাণ্ড নিয়ে হেব্বির শ্যুটিংও করা হয় এদিন। ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে সেই শ্যুটিং চলে। এই শ্যুটিংয়ে কাঞ্চন মল্লিক, প্রসূন গাইন প্রমুখকে দেখা যায়। অন্যদিকে হরগৌরী পাইস হোটেলে🐽র শ্যুটিং চলে এদিন।
মঙ্গলবার বৈঠকে কী জানানো হয়?
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন দেব, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক গৌতম ঘোষ ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংসদ, সুপারস্টার দেব সেই বৈঠকের একটা ছবি X (পূর্বের টুইটার) হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক বামদিকেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন প༒্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেব। আর ডান দিকে দাঁড়িয়ে গৌতম ঘোষ ও স্বরূপ বিশ্বাস। সেই ছবির সঙ্গে দেব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে লেখেন, ‘ধন্যবাদ দিদি, আশা করছি সন্ধ্যার মধ্যে সব সমাধান হয়ে যাবে। আগামিকাল (বুধবার) থেকে আবার শ্যুটিং শুরু হয়ে যাবে। সমস্ত কলাকুশলী, প্রযোজক, পরিচালক এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের ধন্যবাদ।’
পরিচালকদের তরফে গৌতম ঘোষ জানান, শ্যুটিং নিয়ে ফেডারেশনের চালু থাকা নিয়মে বদল আন﷽া হচ্ছে। একটা কমিটি তৈরি করে ফেডারেশনের নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হবে। সেই কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নতুন নিয়ম নভেম্বর থেকে চালু করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মহালয়া এবার টিভির গণ্ডি পেরিয়ে OTT-তে! দুর্গা🉐রূপে কোথায় ধরা দেবেন রাজনন্দিনী?
এরপর এদিন সন্ধ্যেয় ফের টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন ডিরেক্টরস গিল্ড। সেখানে ছিলেন কৌশিক গাঙ্ཧগুলি, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অণির্বাণ ভট্টাচার্য, রাজ চক্রবর্তী, রাজা চন্দ সহ অন্যান্য পরিচালকরা। ছিলেন শুরু থেকে সমস্যার মধ্যস্থতাকারী অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেব। আর এই বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মতো নেওয়া সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন পরিচালকরা। এদিন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন ফ🦹েডারেশনের সদস্যরাও। সেখানে ছিলেন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসও।