‘মাতঙ্গী’র শ্যুটিং চলাকালীন সোহিনী সরকারের সঙ্গে তৃণার ঝামেলার কথা এতদিন সকলের জানা। ঘটনার পর 'মাতঙ্গী' থেকে তৃণা সাহার বাদ পড়ার খবরও শ𝓰োনা গিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে চুপই ছিলেন সোহিনী ও তৃণা। অবশেষে এই ঘটনায় মুখ খুললেন অভিযুক্ত তৃণা সাহা।
আনন্দবাজারকে তৃণা সাহা জানান, ‘প্রথমে ভেবেছিলা💎ম যা ঘটেছে তা নিজেদের মধ্যেই থাকুক। এখন দেখছি আমার চুপ থাকার সুবিধা নিচ্ছেন অন্যরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে আমাকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। ঘটনার একটা দিকই সকলে জানতে পারছেন।’ তৃণার কথায়, ‘যে কাজটা আগে কখনও করিনি, এখন কেন করলাম, সেটাও তো বুঝতে হবে। আমাকে চিত্রনাট্য শুনেছিলেন দীপাঞ্জনদা (দীপাঞ্জন চন্দ, পরিচালক), শুরুতেই ওঁকে বলেছিলাম আলাদা মেকআপ রুম লাগবে। ক্যামেলিয়ার সঙ্গে এর আগে একটা কাজের অভিজ্ঞতা খার🧔াপ। দীপাঞ্জনদা বলেছিলেন ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমি মেকআপ আর্টিস্ট, অ্যাটেনডেন্স কিচ্ছু চাইনি। আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলা হচ্ছে সেগুলি মিথ্যে।’
তৃণা সাহার কথায়, প্রথমদিন তিনি আলাদা মেকআপ রুম পাননি। পরদিন আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে শট দিয়ে ফেরার পর তৃণা নাকি দেখেন, তাঁর জামাকাপড়, জিনিসপত্র অপরিষ্কার ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপরই ন♏াকি তিনি মেজাজ হারান, আর বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। পরের দিন নাকি তিনি দুই সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করেছিলেন, কোনও অভিযোগ ছাড়াই। তবে সেদিন নাকি শ্যুটিং হতে দেরি হয়। অথচ নাকি রাতের খাবারের কথাও বলা হয়নি। তৃণার কথায় 'মাতঙ্গী'র শ্যুটিংয়ে প্রত্যেকদিনই কিছু না কিছু অব্যবস্থা ছিল।
আরও পড়ুন-কেন ঝগড়া সোহিনী-তৃণার? কী বলছেন ‘মাত♋ঙ্গী’র পরিচালক
আরও পড়ুন-সোহিনীকে নিয়ে ঝগড়া করে সেট ছাড়েন, এবার 'মাতঙ্গী' থেকে বাদ তৃণা!෴ বদলে এলেন কে?
তৃণার কথায়, তিনি কিছুদিন আগে রিঙ্গোর সঙ্গে আউটডোরে শ্য়ুটিং করেছেন, সে🃏খানেও মেকআপ রুম ছিল না। এমনকি র🐓াস্তাঘাটেই টয়লেট সারতে হয়েছে। তবে তিনি সেখানে কোনও অভিযোগ করেননি, কারণ শিল্পী হিসাবে সম্মানটুকু পেয়েছেন।
এদিন সোহিনীর সঙ্গে ইগোর লড়াইয়ের বিষয়টিও অস্বীকার করেন তৃণা সাহা। তৃণার কথায়, কে কী সুবিধা পাচ্ছে তাতে কিচ্ছু যায় আসে না, তিনি তাঁর প্রাপ্যটুকু পেলেই হল। তৃণা জানান, সোহিনী তাঁর নাম না ⭕করেই আর্টিস্ট গ্রুপে অপমানজনক কথা লিখেছেন, তাই ক্ষমা চাইতে বলেন। তবে প্রোডকাশন থেকে জানানো হয় সোহিনী ক্ষমা চাইবেন না। তৃণার কথায়,সকলে তাঁকেই বলছিলেন মানিয়ে নিতে। তবে তৃণার প্রশ্ন তাঁর দোষ ছিল না তারপরেও কেন তিনি মানিয়ে নেবেন! তাই তিনি সেদিন চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে গিয়েছিলেন। তৃণার সাফ বক্তব্য নেতিবাচক পরিস্থিতিতে কাজ করা যায় না।