টেলিভিশন রেটিং-এ হেরফের করতে বার্কের (Broadcast Audience Research Council)-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি মুম্বই পুলিশের। এই মর্মে গত ২৪ ডিসেম্বর মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হন পার্থ দাশগুপ্ত। দু-মাসেরও বেশি সময় জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার জামিনে ছাড়া 𒉰পেলেন পার্থ দাশগুপ্ত। এদিন ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে পার্থ দাশগুপ্তর জামিন মঞ্জুর করল বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি পিডি নায়েক-এর বে়ঞ্চে এদিন শুনানি হয় এꦫই মামলার।
আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে জামিনের অর্থ জমা দিতে হবে পার্থ দাশগুপ্তকে। ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯-এর নভেম্বর পর্যন্ত বার্কের দায়িত্বে ছিলেন পার্থ দাশগুপ্ত। ডিসেম্বর মাসে গ্রেফতারির পর থেকে তালোজা জেলে বন্দꩵি ছিলেন অভিযুক্ত। এর আগে সেশন কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ দাশগুপ্ত, গত মাসেই তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন প্রাক্তন বার্ক প্রধান। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি সম্পন্ন হয়েছিল, রায় সুরক্ষিত রেখেছিল আদালত। অবশেষে আজ জামিন মঞ্জুর করল।
পার্থ দাশগুপ্তর মোবাইলের ডেটা পুনরুদ্ধার করেই ডিলিট করা ৫০০ পাতার হোয়াটসঅ্যাপ চꦓ্যাট হাতে এসেছে মুম্বই পুলিশের। রিপাবলিক টিভির এডিটির ইন চিফ অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল পার্থ দাশগুপ্তর, এবং টেলিভিশনের রেটিংয়ের হেরফের নিয়ে টাকা পয়সার আদান-প্রদানের উল্লেখও রয়েছে বলে খবর। মুম্বই পুলিশ আদালতে গত ১১ জানুয়ারি চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেখানে প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেরও।
গত অক্টোবরে ভুয়ো টিআরপি মামলা প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় মুম্বই পুলিশের সর্বময় কর্তা পরমবীর সিং জানান, ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (BARC) এর তরফে নিযুক্ত ফার্ম হানসার তরফে টেলিভিশন রেটিং পয়েন্টে কারচুপির অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশ। এবং পুলিশ জানায়, টাকা দিয়ে টিআরপি বাড়ানোর কাজে জড়িꦦত তিনটি চ্যানেল। এই মামলায় রিপাবলিক ছাড়াও নাম জড়ায় দুটি স্থানীয় চ্যানেলের। সেই দুটি হল- ফাকত মারাঠি (Fakt Marathi) এবং বক্স সিনেমা (Box Cinem🌜a)।