অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে ৫০০ পাতার চর্চিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার কয়েকঘন্টার ব্যবধানেই গুরুতর অসুস্🤪থ প্রাক্তন BARC -এর সিইও পার্থ দাশগুপ্ত। টিআরপি কেলেঙ্কারির অন্যতম এই অভিযুক্তকে গত মাসেই গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। এরপর থেকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তালোজা জেলেবন্দি ছিলেন পার্থ দাশগুপ্ত, তবে আপতত তাঁর ঠিকানা জেজে হাসপাতাল। শুক্রবার সকালে তাঁর রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
টেলিভিশন রেটিং-এ হেরফের করতে বার্কের (Broadcast Audience Research Council)-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি মুম্বই পুলিশের। ক্রাইম বাঞ্চের হাতে গত ২৪ ডিসেম🌳্বর গ্রেফতার হন পার্থ দাশগুপ্ত। তাঁর অসুস্থতার খবর নিশ্চিত করেছেন জেল সুপারিনটেন্ডেন্ট কৌস্তব কুরলেকর। অপর এক জেল আধিকারিক জানান, ‘পার্থ দাশগুপ্তর শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা আমচকাই শুক্রবার সকালে বেড🐽়ে যায়। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে থাকলে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপতত আইসিইউতে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন পার্থ দাশগুপ্ত’।
পার্থ দাশগুপ্তর মোবাইলের ডেটা পুনরুদ্ধার করেই ডিলিট করা ৫০০ পাতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হাতে এসেছে মুম্বই পুলিশের। রিপাবলিক টিভির এ🥂ডি꧃টির ইন চিফ অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল পার্থ দাশগুপ্তর, এবং টেলিভিশনের রেটিংয়ের হেরফের নিয়ে টাকা পয়সার আদান-প্রদানের উল্লেখও রয়েছে বলে খবর। মুম্বই পুলিশ আদালতে গত ১১ জানুয়ারি চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেখানে প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেরও।
অন্যদিক🔯ে, BARC-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে অর্ণবের হোয়াটসঅ্যাপে বিনিময় হওয়ার বার্তার কিছু ‘স্ন্যাপশট’🔥 টুইটে তুলে ধরেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এটির সত্যতা যাচাই না করা হলেও এগুলি টুইটারে ঝড় তুলছে।
গত অক্টোবরে ভুয়ো টিআরপি মামলা প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় মুম্বই পুলিশের সর্বময় কর্তা পরমবীর সিং জানান, ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (BARC) এর তরফে নিযুক্ত ফার্ম হানসার তরফে টেলিভিশন রেটিং পয়েন্টে কারচুপির অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে মুম্বই প🍸ুলিশ। এবং পুলিশ জানায়, টাকা দিয়ে টিআরপি বাড়ানোর কাজে জড়িত তিনটি চ্যানেল। এই মামলায় রিপাবলিক ছাড়াও নাম জড়ায় দুটি স্থানীয় চ্যানেলের। সেই দুটি হল- ফাকত মারাঠি (Fakt Marathi) এবং বক্স সিনেমা (Box Cinema)।