৫ বছর পর আবার বড়পর্দায় ফিরতে চলেছেন তুষার কাপুর। অভিনেতা জানালেন এই বিরতিতে তাঁর জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, এবং প্রতিটি বদল এসেছে ভালোর জন্যই। তবে আজও তিনি একটি জিনিস বুঝে উঠতে পারেন না বলেই জানালেন, তাঁর মতে যাঁরা বাইরে থেকে বিনোদন জগতে এসেছেন যাঁদের এই দুনিয়ার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁরা ইদানিংকালে ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি প্রাধা🌄ন্য পাচ্ছে। আর যাঁদের কোনও বা কোনও ভাবে এই দুনিয়ার সঙ্গে যোগ আছে তাঁদের𒀰 যথাযথ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলেই মনে করছে তুষার।
তুষার কাপুর জানান, ' আমি প্রথম থেকেই কোনও চাপ নিতে ꦗচাইনি।ꦜ কিন্তু তারপর বুঝলাম যাঁরা এই দুনিয়ার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন তাঁদের জন্য যতটা কঠিন বিষয়টা ততটাই কঠিন এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত থাকা মানুষদের, কারণ তাঁদের একটা ভার বহন করে চলতে হয়।'
২০ নভেম্বর বর্ষীয়ান অভিনেতা জিতেন্দ্রর পুত্র, তুষার ৪৬ বছরে পা রাখলেন। তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, 'আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন কিছু না কিছু আমাদের নিচে নামানোর চেষ্টা করে। যাই করি না ক🎃েন খুঁত বের করার চেষ্টা করে এবং বুঝিয়ে দেয় আমরা জীবনে কিছুই করিনি।'
২০০১ সালে ‘মুঝে কুছ কেহনা হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন তুষার কাপুর। তবে এই অভিনেতা মনে করেন যাঁরা বাইরে থেকে এই দুনিয়ায় এসেছে তাঁরা সামান্য কিছু করেও অনেকটা কৃতিত্ব পেয়ে যান, গুরুত্ব দেওয়া হয় তাঁদের। তিনি এই বিষয়ে বলেন, ' এটা ঠিক নয়, কারণ সাফল্য এবং প্রাপ্তি দুজনকেই খেটে অর্জন করতে হয়। যাঁদের পরিবারের কেউ এই দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা যে অতিরিক্ত সুবিধা পান এমনটা কিন্তু নয়। শুধু প্রথম ছবিতেই যা সুবিধা পাওয়ার তাঁরা পান, বাকিটা নিজেদের অর্জন করতে হয়। একজন যা করছেন সেটাকে সম্মান জানানো উচিত সকলের।' তিনি আরও বলেন, ' এমন এক পরিবারে বিশেষ করে এক সুপারস্টারের সন্তান হিসেবে জন্ম নেওয়া সত্যি কঠিন এবং ⛎চাপের। নানান সমস্যায় পড়তে𒁃 হয়। যদিও আজকাল আর সেগুলো গায়ে মাখি না।' অর্থাৎ নেপোটিজম বলে যে আসলে লাভের কিছু হয়, তেমনই ইঙ্গিত তাঁর কথায়।
অভিনেতাকে তাঁর ছেলের বিষয় প্রশ্ন করা হলে, তাঁকে নিয়ে তিনি কী ভাবে তৈরি করছেন, এই খ্যাতির মূল্💝য বোঝাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা মতো বা ভাবার সময় এখনও হয়নি। তাঁর কথায়, 'ও কী করবে সেটা ওর সিদ্ধান্ত। আমার ওর সঙ্গে নানান বিষয়ে অনেক কথা হয়। আমি ওকে আমার পেশার ধরনের ব্যাপারে বলি। আমি চাই না ওর এই পেশা নিয়ে কোনও ভুল ধারণা তৈরি হোক বা কোনও চাপ তৈরি হোক। আমি আমার তরফে সেরাটা চেষ্টা করি। এটার পর তো আর কিছু করার থাকে না। এরপর এটা ওর জীবনে, ওকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নিজের সমস্যার মোকাবিলা নিজেকে করতে হবে।'