বয়স শুধু একটা সংখ্যা। স্বপ্ন কখনও সংখ্যায় আটকে থাকে না। তাই ৪৮ বছর বয়সে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি লাভ করলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী-প্রযোজক তথা লেখিকা টুইঙ্কল খান্না। ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে ফিকশন রাইটিং-এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করলেন মিসেস অক্ষয় কꦰুমার। আর নিজের সাফল্যের উদযাপন🤡ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেন টুইঙ্কল। সেখানে নিজের লন্ডনের সফরনামা তুলে ধরেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। জীবনের নতুন মাইলস্টোন অর্জন করে উচ্ছ্বসিত টুইঙ্কল, তাঁকে নিয়ে গর্বিত স্বামী অক্ষয় কুমারও।
বউয়ের সেই সাফল্যের কাহিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তুলে ধরেন অ𒊎ক্ষয়। সঙ্গে প্রকাশ্যেই স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন ‘সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন’-এর জবাব। খিলাড়ি কুমার লেখেন- ‘মাস্টার ডিগ্রি লাভ করল, দুর্দান্ত সাফল্য। টিনা আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত। তবে সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন হল, তুমি কবে বা🅠ড়ি ফিরছো?’
গত এক বছর ধরে 🌼লন্ডনই ছিল টুইঙ্কলের ঠিকানা। বিদেশেই পড়াশোনা আর লেখালিখি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অক্ষয় ঘরণী। বউকে যে চরম মিস করেছেন নায়ক, তা স্পষ্ট তাঁর ইনস্টা স্টোরি থেকে। অন্যদিকে ইনস্টা রিলে নিজের ডিজারটেশন পেপার অর্থাৎ গবেষণাপত্রের ঝলক তুলে ধরেছেন টুইঙ্কল। যার শীর্ষক হল- ‘MA Creative and Life Writing’। ভিডিয়োয় নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের ঝলক তুলে ধরেন অক্ষয়-জায়া। লাইব্রেরি থেকে কমনরুম, সিঁড়ি সবই উঠে এল ভিডিয়োয়।
দীℱর্ঘ ক্যাপশনে টুইঙ্কল লেখেন- ‘এক বছরের পড়াশোনা, বিশ্লেষণ, ক্লাস এইটের পড়ুয়ারাও যা জানে সেগুলো শেখা- কীভাবে দৃষ্টান্তরুপ উল্লেখ করতে হয়, অ্যাসাইনমেন্ট সাফল্যের সঙ্গে শেষ করতে হয় আর সবশেষে গবেষণাপত্র জমা দিতে হয়… সব শেষ। ভেবেছিলাম গবেষণাপত্র জমা দিয়ে পড়াশোনার এই সফর শেষে আমার মধ্যে একটা পালাই পালাই মনোভাব কাজ করবে কিন্তু না। ൩উদযাপন করার পরিবর্তে আমি যেন হারিয়ে গিয়েছি। কারণ এটা গত এক বছর আমার জীবনের সবচেয়ে জরুরি অংশ ছিল।’
এই সফর তাঁকে কী শেখালো? টুইঙ্কল জানান- কম বয়সী পড়ুয়াদের জন্য বাবা-মায়েরা সব ব্যবস্থ🐽া করে দেন। কিন্তু এই বয়সে পৌঁছে বিষয়টা উলটো, নিজেকেই সবটা খেয়াল রাখতে হয়। মিসেস ফানিবোনস আরও জানান, মোট ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিজেকশন সইতে হয়েছে তাঁকে, যদিও নিজের সবচেয়ে পছন্দের ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান তিনি। এক বছর ধরে নতুন শহর, নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে উতরে গিয়েছেন তিনি, খানিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন টুইঙ্কল।
তবে এই সফরে সবচেয়ে জরুরি যে বিষয়টা অক্ষয় ঘরণী শিখেছেন, তা হল- বয়সের সঙ্গে আমরা কেবল উচ্চতায় বাড়ি তা নয়, সর্বতোভাবে নিজের বৃদ্ধি সম্ভব। সেখানে বয়স কোনও বাধা নꦓয়।
রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কপাডিয়ার বড় মেয়ে টুইঙ্কল, ইন্ডাস্ট্রির সকলের কাছে তিনি আদের টিনা। বরসাত, বাদশা, ইন্টারন্যাশন্যাল খিলাড়ি থেকে মেলার মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন টুইঙ্কল। মেলা ফ্লপ করার পর শর্তে হেরে অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী, এরপরই ইতি টানেন কেরিয়ারে। কারণ অভিনয় জগত কোনওদিন তাঁর পছন্দের জায়গা ছিল না। এখন লেখালেখির পাশাপাশি𝐆 প্রযোজনায় মন দিয়েছেন টুইঙ্কল।