অভিনেত্রী উর্বশী রাওতেলা যে ঠিক কী করতে চাইছেন সেটাই এখন মাথায় ঢুকছেন না কারও। এই কখনও একমাথা সিঁদুরে ছবি দিচ্ছেন তো কখনও আবার জানাচ্ছেন করবা চৌথের শুভেচ্ছা। ঋষভের জন্যই নাকি সাত সমুদ্র পার করে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছেন উর্বশী। আসলে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলও আপাতত সেখানেই রয়েছে! রয়েছেন ঋষভও। আর উর্বশীও ♔নিজের একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘হৃদয়ের পিছু নিলাম… আর সেটা আমাকে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে দিল’। ব্যস আর কী, দুইয়ে দুইয়ে চার করতে কারওরই কোনও অসুবিধে হয়নি।
তবে জনগণের একটা অংশ চটেছেন উর্বশীর উপরেই। তাঁদের দাবি হাতে কাজ না থাকায় খবরে থাকতে এসব করছেন তিনি। আর যার༺ প্রভাব পড়ছে ঋষভের খেলায়। বারবার যেচে পড়ে তিনি ঋষভকে বিরক্তও করছেন। আর দেশবাসীর এইসব অভিযোগেরই জবাব দিলেন ‘সনম রে’ অভিনেত্রী।
উর্বশী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ‘দুঃখী-দুঃখী’ ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। আর ক্যাপশনে তিনি ইরানের মাহশা আমিনির সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে লিখেছেন, ‘প্রথমে ইরানে মাহশা আমিনি আর এখন ভারতে… ওরা আমাকে কটাক্ষ করে স্টকার বলছে। কেউ আমার জন্য ভাবে না বা আমার হয়ে কথা বলে না। একজন শক্ত মহিলা সবসময়ই গভীরভাবে চিন্তা করে আর উগ্রভাবে ভালোবাসে। তাঁর চোখের জল, তাঁর হাসির মতোই বাধ ভাঙে। সে যেরকম নরম হয় তেমনই শক্তিশালী। যেমন আধ্যাত্মিক তেমনই বাস্তববাদী। গোটা বিশ্বের ꦅকাছেই সে একটা উপহার।’
তবে উর্বশীর এই পোস্টে জল তেমন গলে☂নি বললেই হয়। এক জনৈক মন্তব্য করেছেন, ‘আরে ভাই দুঃখ পাওয়ার এত নাটক করে কী হবে। এটা তো কোনও সিনেমা নয় যে শেষে দেখা যাবে সবটা ঠিক হয়ে গেল। নিজে কাজ করো, অন্যকে করতে দাও। এবার এগুলো বন্ধ করো।’ অপরজন লিখলেন, ‘দেশকে গোটা বিশ্বের কাছে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় তুলে ধরেছো তুমি, জিতেওছো। তুমি আশা করি বুঝতে পারছো বিশ্বকাজের গুরুত্ব। একটু শান্তি দাও ছেলেটাকে। এখন অন্তত ভিক্টিম কার্ড খেলার চেষ্টা করো না।’