করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬ অগস্ট প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআইএম-এর অন্যতম শীর্ষ নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। এবছর তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে কন্যা তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে তাঁকে স্মরণ করেছেন। বাবার মৃত্যু তাঁকে এতটাই স্তব্ধ করে দিয়েছিল, এতটাই শোকে আছন্ন হয়ে ছিলেন যে কী হয়েছে তা বুঝতে বুঝতেই এক বছর পেরিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী। ঊষসীর কথায়, 'এখন অবশ্য আমি টের পাচ্ছি শূন্যতা এবং মহাশূন্যতা।' তাঁকে যে গ্রাস করেছে চরাচর ঢেকে যাওয়া বিꦏষণ্ণতা, সেকথাও অকপটে স্বীকারোক্তি করেছেন তিনি।
এরপর ফ্রেমে বাঁধানো বাবার ছবির সামনে বসে গাওয়া সেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভিডিও নেটমাধ্যমে পোস্টও করেছেন ঊষসী। ব্যাস! এরপরেই শুরু হয়েছে নেটিজেনদের নীতিপুলিশগিরি। ওই ভিডিওর কমেন্ট বক্সেই ঊষসীর হট-প্যান্ট পরা একটি পুরোনো ছবির প্রসঙ্গ তুলে এক নেট নাগরিকের মন্তব্য, এরকম হট প্যান্ট পরা ছবি পোস্ট করে যেন প্রয়াত বাবাকে অসম্মান না করেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে 'জুন আন্টি' জানিয়েছেন এহেন অযাচিত জ্ঞান, নীতিপুলিশগিরির জন্য তাঁর প্রাণ ওষ্ঠাগত। 'আরে, আমার বাবা কেমন ছিলেন সেটা কি আর আমি জানি না? ' সাফ কথা অভিনেত্রীর। ঊষসীর কথায়, তাঁর বাবা একজন অত্যন্ত খোলা মনের মানুষ ছিলেন। মেয়েদের পোশাক নিয়ে কথা বলা মানে যে তাঁদের অসম্মান করা, তাঁর বাবা সেটা জানতেন। তাই অভিনেত্রী কন্যার কোনও কিছু নিয়েই 𝐆কোনও দিন তিনি কিচ্ছু বলেননি।
তাছাড়া বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে কেন রবি ঠাকুরের প্রেমের গান গেয়ে তাঁকে স্মরণ করলেন সে ব্যাপারেও বক্তব্য রেখেছেন প্রয়াত নেতার অভিনেত্রী-কন্যা।ঊষসী জানিয়েছেন তাঁর বাব♋া ভীষণ রোম্যান্টিক ছিলেন। এমনকি মৃত্যুর কিছুদিন আগেও দোলপূর্ণিমার চাঁদ দেখবেন বলে অযোধ্যা পাহাড় ঘুরে এসেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ফেসবুক ♏পোস্টেই তিনি আরও লিখেছেন, 'জানি মৃত্যুবার্ষিকীতে কেউ প্রেমের গান গায় না। আমি গাইলাম। কারণ, এই প্রেমের গানটি আমার মায়ের প্রিয়তম ছিল। সেই সূত্রে বাবারও। তবু শোক সরিয়ে বাবার জন্য ‘ও যে মানে না মানা’-র মতো গানটাই বেছেছি। বাবার ভাল লাগাকে সম্মান জানাব বলে।'
এখানেই না থেমে আরও লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমার যা ট্রেনিং, তাতে কোনওদিনও পরলোক বলে কোথাও কিছু আছে বলে শিখিনি। মৃত্যুর পর মানুষ প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়, এ রকমটাই জেনে এসেছি বরাবর। তবু মনে হচ্ছে, যাঁরা বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পরেও কোনও একটা ভাবে মানুষ রয়ে যান, দূর থেকে দেখতে পান সব কিছু, তাঁদের জীবন ঈর্ষণীয় ভাবে সুখের। অন্তত আজকের জন্য🧸 তাঁদের মতো করেই ভাবতে ইচ্ছে করছে।’