যদিও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফ ও ফাইনালের ভেন্যুগুলি ঘোষণা করেনি, Cricbuzz সূত্রে জানা গেছে, আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকে কোয়ালিফায়ার ২ ও ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ১ জুন ও ৩ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
তবে এই পরিকল্পনা পরিবর্তনও হতে পারে বলে মে করা হচ্ছে। যদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়, কারণ এখনও ভেন্যু ঘোষণায় দেরির প্রধান কারণই আবহাওয়া। বিসিসিআই সারা দেশের বর্ষার গতিপ্রকৃতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে। তবে এখন পর্যন্ত পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুনের শুরুতে আমদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম।
প্রথম দুটি প্লে-অফ ম্যাচের জন্য মুম্বই একটি সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বর্ষার আগমনের সময়ের ওপর। কয়েকদিন আগে মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে এবং তারপর থেকেই আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বিসিসিআই শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যদি উত্তর ভারতের কোনও শহর যেমন দিল্লি, জয়পুর বা লখনউ বর্ষায় অনিশ্চিত না হয়, তবে বোর্ড সেই শহরগুলোর যে কোনও একটি বেছে নিতে পারে।
সম্ভবত বিসিসিআই প্লে-অফ ও ফাইনালের জন্য আইপিএলকে নতুন কোনও শহরে নিয়ে যাবে না। বরং, প্লে-অফের ভেন্যুগুলি সেই ছয়টি শহরের মধ্যেই থাকবে, যেগুলিকে লিগ পর্বের বাকি ১৭টি ম্যাচের জন্য ইতিমধ্যে বাছাই করা হয়েছে। এর প্রধান কারণই হল অপারেশনাল – নতুন কোনও ভেন্যুতে সম্প্রচারের সরঞ্জাম স্থানান্তর এবং অবকাঠামো গড়ে তোলা কঠিন ও ব্যয়সাপেক্ষ।
আরও পড়ুন … কোহলির RCB-র প্রাক্তন ক্রিকেট ডিরেক্টরকেই হোয়াইট-বলের প্রধান কোচ করল পাকিস্তান
বাস্তবিক অর্থে, এই লজিস্টিক সমস্যার কারণেই বিসিসিআই কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং মোহালি/ধর্মশালায় ম্যাচ বরাদ্দ করেনি। উদাহরণস্বরূপ, চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH)-এর ঘরের মাঠে একটি করে মাত্র ম্যাচ বাকি ছিল, এবং এই একটি ম্যাচের জন্য সম্প্রচার সরঞ্জাম স্থানান্তরকে বোর্ড অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেছে। মোহালি ও ধর্মশালার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সেগুলি বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে পঞ্জাব কিংস-এর জন্য নতুন ঘরের মাঠ করা হয়েছে জয়পুর, যেখানে তারা তাদের দুটি বাকি হোম ম্যাচ খেলবে।
এছাড়াও, কলকাতার আবহাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় ফাইনালের শেষ দুটি ম্যাচ ইডেন গার্ডেন্স থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) ইতিমধ্যেই তাদের সব হোম ম্যাচ খেলেও ফেলেছে।
আরও পড়ুন … ৭ মে অবসরের ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন বিরাট! কী কারণে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি?
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছে যে, যেসব দলের একটি করে হোম ম্যাচ বাকি রয়েছে, সেগুলি দিল্লিতে খেলা হবে। এই কারণেই চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) বনাম রাজস্থান রয়্যালস (RR) এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH) বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) ম্যাচ দুটি দিল্লি করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে মুম্বইয়ের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম করা হয়েছে – কারণ মুম্বই আইপিএলের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সেখান থেকে সম্প্রচারের সরঞ্জাম স্থানান্তর করাটা কঠিন নয়। এমনকি ৬ মে-র শেষ ম্যাচের পর থেকে সরঞ্জামগুলি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই রাখা হয়েছে। তাছাড়া মুম্বই এখনও প্লে-অফের কিছু ম্যাচের হোস্ট করার দৌড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন … ভিডিয়ো: কোহলির অবসরের সিদ্ধান্ত সঠিক, কিন্তু সময়টা ভুল… গাভাসকরের উদাহরণ টেনে বিরাটকে সিধুর পরামর্শ
রাজস্থান রয়্যালসের (RR) ক্ষেত্রেও, যদিও তাদের একটি মাত্র হোম ম্যাচ বাকি ছিল, কিন্তু পঞ্জাব কিংস-এর জন্য জয়পুরকে ঘরের মাঠ করায় RR-এর শেষ ম্যাচটি সেখানেই দেওয়া হয়েছে। আসলে, পুণরায় শুরুর পর থেকে জয়পুর তিনটি ম্যাচ হোস্ট করছে, যার মধ্যে দুটি পঞ্জাব কিংস-এর হোম ম্যাচ।
আইপিএল ১৭ মে থেকে আবার শুরু হচ্ছে এবং পুণরায় শুরুর পর মোট ১৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচগুলি ছয়টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে – বেঙ্গালুরু, জয়পুর, দিল্লি, লখনউ, মুম্বই ও আমদাবাদ।