বুধবার দুপুরেই দিল্লি ক্যাপিটালসের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, যে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের পরিবর্তে বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নেওয়া হল। ৬ কোটি টাকায় এই বাঁহাতি পেসারকে দলে নেয় ক্যাপিটালসরা। গতবার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলে মাঝপথেই দেশে ফিরেছিলেন ফিজ। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা এবারের আইপিএলে আর নাও ফিরতে পারেন। এরই মধ্যে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর আইপিএলে ফিরতে চান না। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছিল রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই এমন কথা বলে বসলেন ফিজ, যে সবই যেন ভেস্তে যেতে বসেছে।
হঠাৎই আজ সন্ধ্যায় মুস্তাফিজুর রহমান একটি পোস্ট করলেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে। আর সেখানেই তিনি লিখেছেন, যে তিনি আরব আমিরশাহীতে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশ বনাম আরবের যে ম্যাচ রয়েছে দুটি, সেই ম্যাচ খেলতেই সেদেশে যাচ্ছেন ফিজ। ফলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ১৭ মে থেকে আর হয়ত ফিজ নামতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে কি তাঁকে প্লে অফের জন্য দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস? এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আরেকটি, সেটা হল দিল্লি ক্যাপিটালসের এখনও তো আইপিএলের প্লে অফে যাওয়া নিশ্চিত নয়। তার মধ্যে মিচেল স্টার্কেরও ভারতে আসার সম্ভাবনা কম, তাই শুরু থেকে না পেলে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েই বা দিল্লি ক্যাপিটালসের কি এমন লাভ হবে। কারণ তাঁদের দলে আপাতত একমাত্র বাঁহাতি পেসার বলতে রয়েছেন টি নটরাজন, যিনি আবার এই মরশুমে তেমনভাবে আইপিএলে খেলার সুযোগই পাননি। স্টার্কই এতদিন ছিলেন তাঁদের দলের সেরা তারকা।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও জানিয়েছে যে এখনও মুস্তাফিজুর রহমানকে এনওসি দেওয়া হয়নি, কারণ তাঁদের কাছে এমন কোনও আবেদনই আসেনি। আর তাঁরা নাকি আইপিএলে ফিজের খেলার বিষয়ও কিছুই জানেন না। বাংলাদেশের সঙ্গে আরবের ২ টি টি২০ ম্যাচের সিরিজের ম্যাচ রয়েছে মে মাসের ১৭ এবং ১৯ তারিখ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে প্রধান নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি বলতে পারব না যে মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে কোনও দলে যাচ্ছে কিনা। ও তো আমাদের দলের সঙ্গেই যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে, তাই ও কোথাও খেলবে কিনা জানি না। ওই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ’।