বেদাঙ্গ রায়নার পরবর্তী ছবি 'জিগরা'-তে দেখꦜা যাবে বেদাঙ্গকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামীর এক আসামীর চরিত্রে দেখা যাবে। ছবিটিতে অভিনেতাকে বেশ কিছু আবেগপ্রবণ দৃশ্যের শুღটিং করতে হয়েছে। ম্যানসওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেদাঙ্গ জানিয়েছেন যে, কীভাবে এই দৃশ্যগুলির শ্যুটিং তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিল।
'জিগরা'-তে আবেগপ্রবণ দৃশ্যের শ্যুটিং করার অভিজ্ঞতা নিয়ে যা বললেন বেদাঙ্গ
সাক্ষাৎকারে বেদাঙ্গ 'জিগরা'-তে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে জানান, আলিয়া ভাট চরিত্রের মধ্যেই থাকতেন। সব সময় নির্ভুল ভাবে শর্ট দিতেন। তিনি যে মুডেই থাকুন না কেন, অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি চরিত্রটি হয়ে উঠতেন, আর 'কাট' শোনার সঙ্গে সঙ্গে চরিতℱ্রটি থ🀅েকে বেরিয়ে আসতেন।
এরপর বেদাঙ্গ নিজের বিষয়ে বলেন, ‘কিন্তু আমি তা পারিনি, চরিত্রের ভেতরে আসা-যাওয়া আমার জন্য এত সহজ ছিল না। এই চরিত্রটা আমার মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল। প্রথম দিন, আমার আবেগপূর্ণཧ একটি দৃশ্যে শুটিং করার কথা ছিল। সেই সময় আমি নিজেকে আমার ভ্যানিটিতে বন্ধ করে রেখেছিলাম। লাইট বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সঙ্গে আমার ফোনও বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সকলকে বলেছিলাম যে আমাকে একা ছেড়ে 🅠দিন। আমি সেখানে বসে গান শুনছিলাম। ভাগ্য ভালো থাকায় শটটা বিকেল ৩টায় হওয়ার কথা থাকলেও দেরি হয়ে যায় এবং আমরা রাত ৮টার দিকে কাজ শুরু করি। আমি প্রায় ৮ ঘন্টা ধরে নিজেকে নিজে নির্জন কারাবাসে রেখে ছিলাম। আর সেটা সত্যিই আমাকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলো বিক্রির টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি! কঙ্গনার 🌜নতুন গাড়ির দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে
তিনি আরও বলেন, ‘দৃশ্যগুলো শেষ হওয়ার পরও আমি ২-৩ ঘণ্টা ওই জোন থেকে বের হতে পারতাম না। আমি বুঝতে পের☂েছিলাম যে এটা এভাবে কাজ করবে না। এর পরে আমি নিজের উপর এই জাতীয় জিন💜িস আর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখন আমার মনে হয়েছিল যে আমার আবেগ বের করে আনার নিশ্চয় অন্য কোনও উপায় রয়েছে। আমাকে কেবল খুঁজে বের করতে হবে কোনটা আমার পক্ষে সবচেয়ে ভাল কাজ করে।’
আরও পড়ুন: ‘ভালোবাসি…’, অনন্যার প্রিয়বন্ধু নাকি শাহরুখ ! ছবি দেখেই🌞 ফুট কাটল সুহানা!
'জিগরা' অভিনেতা হিসেবে বেদাঙ্গর দ্বিতীয় ছবি। ‘জিগরা’-এর আলিয়া ভাট ও বেদাঙ্গকে ভাই-বোনের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। আলিয়াকে সত্য আনন্দ নামে একটি চরিত্রে দেখা যাবে। তার ভাই অঙ্কুর আনন্দকে বাঁচানোর জন্য তার যে লড়াইয়ের গল্প তা এই ছবিতে ফুটে উঠেবে। অঙ্কুর বিদেশের 🌠কারাগারে বন্দী থাকাকালীন নির্যাতনের শিকার হয়। তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা কয়া হয়, সেই পরিস্থিতিতে তার দিদি সত্য তাকে জেল থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপর? সত্য কি তার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারে? তা জানতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে ১১ অক্টোবরের। কারণ ওই দিন ‘জিগরা’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ভাসান বালা।