কদিন আগেই শোনা গিয়েছিল সন অফ সর্দার ২-তে দেখা যাবে না সঞ্জয় দত্তকে। ভিসা সমস্যার কারণে তিনি নাকি ইংল্যান্ডে যেতে পারছেন না। তাই রাতারাতি তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। এবং সেই জায়গায় আসেন রবি কিষাণ। আর বর্তমানে বাদ গেলেন আরও এক বলি অভিনেতা। প্রবীণ অভিনেতা বিজয় রাজকে সন অফ সর্দার সিনেমা থেকে বের করে ꧃দেওয়া হল। প্রযোজকের অভিযোগ, ফিল্মের সেটে অ-পেশাদার আচরণের কারণেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিজয় রাজের দাবি, তিনি সেটে এসে হাই-হ্যালো করেননি অজয় দেবগনকে, তাই তাঁর সঙ্গে এমনটা করা হয়েছে।
সন অফ সরদার ২-এর সহ-প্রযোজক কুমার ম💜ঙ্গত পাঠকের মতে, ♎সেটে অপেশেদার আচরণের কারণে বিজয় রাজকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি যে আমরা বিজয় রাজকে সেটে তাঁর আচরণের কারণে সিনেমা থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তিনি বড় ঘর, একটি ভ্যানিটি ভ্যান দাবি করেছিলেন এবং স্পট বয় রাখার জন্য আমাদের থেকে অতিরিক্ত চার্জও নেন। তার স্পট বয়কে প্রতি রাতে ২০,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল, যা কিছু বড় অভিনেতাদের বেতনের চেয়েও বেশি। ইংল্যান্ড একটি ব্যয়বহুল জায়গা, এবং শুটিংয়ের সময় প্রত্যেকেই স্ট্যান্ডার্ড রুম দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি প্রিমিয়াম স্যুট দাবি করেছিলেন’, সংবাদমাধ্যমকে বলেন কুমার মাঙ্গত।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভꦯাবে ♕বিজয় রাজের চাহিদা বেড়েছে তাও প্রযোজক বিস্তারিত জানিয়েছেন। বলেন, ‘যখন আমরা তাকে খরচের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি, তখন সে মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং অভদ্রভাবে কথা বলে। তার ক্রমাগত প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘আপনারাই আমার কাছে এসেছেন, আমি তো আর কাজ চাইতে আপনাদের কাছে যাইনি’। তিনি তিন ব্যক্তির কর্মী-সহ যাতাযাত করার জন্য দুটো গাড়ির দাবিও করেছিলেন। অনেক আলোচনার পর আমরা ওকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।’
যদিও বিজয় রাজ প্রযোজকের এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁর কাছে রয়েছে গোটা ঘটনার অন্য ব্যাখ্যা। তিনি বলেন, ‘আমি ট্রায়ালের জন্য সময়ের আগেই লোকেশনে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু এসে আমি অজয় দেবগনকে শুভেচ্ছা জানাইনি কারণ তিনি ব্যস্ত ছিলেন এবং আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিরিশ মিনিট পর মিঃ কুমার মাঙ্গত আমার কাছে এসে বললেন, 'আপনি সিনেমা থেকে বেরিয়ে যান। আমরা আপনাকে বের করে দিচ্ছি'। আমার দিক থেকে এক😼মাত্র অসদাচরণ হল আমি মিস্টার অজয় দেবগনকে সালাম জানাইনি। সেটে পৌঁছনোর ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
কুমার মাঙ্গত এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে, সমস্যাগুলি শুটিংয়ের আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। ‘অজয় দেবগন মোটেও এমন মানুষ নন যে, লোকেদের অভ্যর্থনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। তিনি সৃজনশীল লোকেদের দ্বারা বেষ্টিত থাকতে পছন্দ করেন এবং সবার সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন। অজয় দেবগনকে শুভেচ্ছা না জানানোয় তাকে সরিয়ে দেওয়ার গল্পটি মিথ্যা😼। বিজয় রাজকে ফিল্ম থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কমপক্ষে দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং আমরা নিশ্চয়ই কোনও ছোটখাটো বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেব না।’
মঙ্গত জোর দিয়ে বলেন যে, সিদ্ধান্তটি রাজের অ-পেশাদার আচরণ এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণেই নেওয়া। ‘এমনকী অন্য অভিনেতা এবং আমি তাঁর মতো একই ক্যাটাগরির রুমে🅷 ছিলাম, যার দাম প্🐭রতি রাতে ৪৫ হাজার টাকা। এবং ইংল্যান্ডের সেরা হোটেলগুলির মধ্যে একটি। অপেশাদারী আচরণের জন্য কোনও জায়গা নেই। আমাদের কপাল ভালো যে, শুটিং শুরুর আগেই আমরা তাকে সরিয়ে দিয়েছি, কারণ তার উপস্থিতি সেটে অনেক সমস্যা তৈরি করত।’
বিজয় রাজ আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রশ্ন করেন, ‘২৬ বছর ইন্ড▨াস্ট্রিতে থাকার পরে, আমি কি আমার জন্য একটা বড় ঘরের মতো সাধারণ দাবিও করতে পারি না?’