সুস্মিতা সেন আর পরিচালক বিক্রম ভাটের সম্পর্ক🍎 ছিল একসময় বলিউডের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ৯০-এর দশকের শেষের দিকে বাঙালি সুন্দরী সুস্মিতার প্রেমে পড়েছিল বিবাহিত বিক্রম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ কান্নন তাংকে প্রশ্ন করেছিলেন, ২০০৬ সালের ছবি আনকাহি তিনি নিজের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছিলেন কি না! যাতে পরিচালকের থেকে জবাব আসে, ‘বেশ কিছুটা। আমি বলব আধা কাল্পনিক।’
এরপর সিদ্ধার্থের তরফে সরাসরি বিক্রমের কাছে জানতে চাওয়া হয় ছব🐟িটি প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স এবং বলিউড তারকা সুস্মিতা সেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে তৈরি কি না𓃲। এতে জবাব আসে, ‘আমি মনে করি [এটি] সুস্মিতা এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে। এটা ঘটনা ভিত্তিক ছিল না। এটি কাল্পনিক জগতে একটি বাস্তব আবেগ ছিল।’
তার প্রাক্তন স্ত্রী অদিতি ভাট সিনেমার অনুপ্রেরণা হিসেবে তাঁদের জীবন ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হননি প্রশ্নে বিক্রমওের থেকে জবাব আসে, ‘আমি কেবল সিনেমায় নিজেকে দোষ দিয়েছি। সুস্মিতা বা আমার প্রাক্তন স্ত্রীর চরিত্র নয়। তাহলে মন খারাপ হবে কেন? নিজেকে দোষারোপ করার অধিকার আমার আছে।’ আর এই ছবি নিয়ে সুস্মিতার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে বিক্রম ভাট জানান, ‘আমি জানি না। আমি তাঁকে কখনো জিজ্ঞাসা করিনি। কিন্তু আমার নিজের জীবন এবং আমার নিজের গল্পের উপর আমার সমস্ত অধিকার আছে - অন্য কারো জীবনের উপর নয়।’
সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্🤪কের জন্য তিনি কখনও আফসোস করেন না বলেও জানান বিক্রম। তাঁর সাফ জবাব, ‘আমি আমার জীবনে কোনো কিছুর জন্য অনুশোচনা করি না। আমি অনেক ভুল ক🥃রেছি। এটাই আমার জার্নি।’
সম্পর্কে আলিয়া ভাটের কাকা আর মহেশ ভাটের ভাই হন বিক্রম। সুস্মিতার সঙ্গে যখন সম্পর্কে জড়ান তখন তিনি শুধু বিবাহিত নন, এক মেয়ের বাবাও। সুন্দরী প্রেমিকাকে (সুস্মিতা সেন)💙 খুশি রাখতে বিক্রম ছেড়েছিলেন নিজের পরিবার। ১৯৯৮ সালে গুলাম মুক্তির আগে ডিভোর্স হয় তাঁর ও অদিতির। তবে সুস্মিতার সঙ্গে প্রেমটাও টেকেনি। শোনা যায়, সেই প্রেমে ফাটল পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছিল বিক্রমকে। অবসাদে ভুগছিলেন, ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে ভেবেছিলেন আত্মহত্যার কথা।
এরপর বিক্রম সম্পর্কে জড়ান বলিউডের আরেক নায়িকা আমিশা পাটেলের সঙ্গে। কিন্তু সেটাও দীর্ঘস্থায়ꦅী হয়নি। এরপর প্রেমের থেকে দূরেই সরে গিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে পেয়েছেন নিজের মনের মানুষ। বিয়ে করেছেন শেতাম্বরী সোনিকে।