নামটা বিবেক ওবেরয়। বলিউডি সিনেমার 🔯দুনিয়ায় এই নামটা কিন্তু বেশ পরিচিত। তবে নিজের অভিনয়ের জন্য তাঁর যতটা পরিচিতি, সাফল্য পাওয়ার কথাছিল, ততটাও তিনি পাননি। শুরুর দিকে, 'সাথিয়া', 'যুবা', 'মস্তি', ‘শুটআউট লোখন্ডওয়ালা’, ‘ওমকারা’র মতো সুপারহিট ছবি দিয়েছেন বিবেক। তবে ‘হিট’ ছবি দিয়ে কেরিয়ার শুরু হলেও মাঝে থমকে গিয়েছিল বিবেকের ফিল্মি কেরিয়ার। অগত্যা অভিনয় ছেড়ে ব্য়বসায় মন দিয়ে হয়েছিল বিবেককে। সম্প্রতি নিজের ফিল্মি কেরিয়ার নষ্ট হওয়ার কারণ হিসাবে বলিউের 'লবিবাজি'কে দায়ী করেছেন বিবেক ওবেরয়।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলিউড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিবেক ওবেরয়। এমনকি সলমন🤪 খানের কাছ থেকে কীভাবে হুমকি পেয়েছিলেন সেবিষয়েও সরব হয়েছেন বিবেক।
ঠিক কী বলেছেন বিবেক?
বিবেক কারও নাম না করে বলেন, আমি প্রচুর সাফল্🐽য পেয়েছি, আমি আমার ক্যারিয়ারে প্রচুর পুর﷽স্কার জিতেছি। তবে হঠাৎই সব বাষ্পীভূত হয়ে গেল। কারণটা কিছু লোক, যাঁদের বলিউডে প্রচুর ক্ষমতা ছিল, তাঁরাই সিদ্ধান্ত বলেছিলেন 'তুমি আর এখানে কাজ করবে না, আমরা নিশ্চিত করব যে তুমি যাতে আর কাজ না পাও'। তখন ভীষণ হতাশা ছিলাম, রাগও হয়েছে, নিজেকে একজন শিকারের মতো মনে হত। তবে কীভাবে এটার মোকাবেলা করব তা তখন জানতাম না।'
বিবেক বলেন, 'আমার মা, যাঁকে আমি সত্যিই শ্রদ্ধা করি। তিনি আসলে আমার হিরো। তখন মা-ই আমায় বলেছিলেন 'অন্য কিছুতে হির꧒ো হয়ে ওঠার চেষ্টা করো। দেখবেন আপনি কখন নায়ক হয়ে উঠেছেন। নিজেকে তখন একজন বিজয়ীর মতো মনে হবে'... আপনি শিকার💜 থেকে নায়ক হওয়ার একমাত্র উপায় হ'ল কোনও কিছুতে নায়ক হয়ে ওটা।'
বিবেক-সলমনের বিবাদ
সালটা ছিল ২০০৩, এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিবেক অভিযোগ আনেন সলমন খান তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। কারণটা ঐশ্বর্য রাই। সলমনের সঙ্গে তিক্ত বিচ্ছেদের পর বিবেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ঐশ্বর্য। যদিও বিবেকের সঙ্গেও 'রাই' সুন্দরীর সম্পর্ক টেকেনি। এরপর ২০০৭ সালের এপ্রিলে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঐশ্বর্য। ২০১১ সালে তাঁদের মেয়ে আরাধ্যার জন্ম হয♎়। পরে বিবেক বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা আলভাকে। তাঁদেরও এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে বিবেক ওবেরয় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারেও বলিউডের লবিবাজি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে সবটা বলাপ পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তাঁকে তদবির এবং হুমকির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বিবেকের কথায়, ‘আমি এমন অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়েছি যা সত্যিই অপ্রয়োজনীয় ছিল। অনেক লবি, অনেক নিপ♍ীড়নমূলক গল্প। রয়েছে আমার।’
বিবেক বলেন, 'আমি জানি যে ওই পরিস্থিতিটা কতটা হত🐽াশাজনক ছিল, তখন চরম, 🐟অবসন্ন ও ক্লান্ত বোধ করতাম। আপনার মনে আছে, আমি তখন সবেমাত্র 'শুট আউট লোখান্ডওয়ালা'য় একটি পুরস্কার জিতেছি। যে ছবি বাণিজ্যিকভাবেও সফল। তারপরে, আমি ১৪ মাস ধরে বাড়িতে বসে ছিলাম, হাতে কোনও কাজ ছিল না। আমি যখন ওই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখনও ভাবতে শুরু করি. আমাকে এমনকিছু করতে হবে যা আমাকে এসবের বাইরে নিয়ে যাবে। তখনই ব্যবসা শুরু করি। আজ আমি খুশি।'