খালি গলায় গান গেয়ে একসময় জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছিলেন রানাঘাটের রানু মণ্ডল। রানাঘাটের ৬ নম্বর প্লাটফর্মের রানুর কপাল খোলে। সোজা মুম্বাই স্টুডিওতে পাড়ি দিতে হয়েছিল তাঁকে। গলা শুনে ডাক পড়েছিল হিমেশ রেশমিয়ার কাছ থেকেও। কিন্তু নিজের সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি এই গায়িকা। অবশ্য প্রায়শই নিজের কাণ্ড-কারখানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন তিনি।সম্প্রতি গায়িকার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। নীল রঙের নাইটি পরে, কোমরে গামছা পেঁচিয়ে উদ্দাম নাচে মত্ত রানু। গায়িকার ভিডিয়ো চরম ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। এবার গায়িকা থেকে নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর নতুন ভিডিয়ো দেখে চোখ ছানাবড়া নেটিজেনের। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নেটমাধ্যমে হৈচৈ পড়ে যায়। ২০১৯ সালে রাণাঘাট স্টেশনে প্রথম ভাইরাল হয়েছিল রানু। পথ চলতি এক ইঞ্জিনিয়ার রানুর গান রেকর্ড করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। যা নিমেষে ভাইরাল হয়। লতা-কণ্ঠী রানুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় সকলেই। এরপর রানু-র ডাক পরে এক রিয়েলিটি শো-তে। তারপর সেখানেই তিনি নজরে আসেন হিমেশ রেশামিয়ার।হিমেশের সঙ্গে ‘হ্যারি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে ‘তেরি মেরি কাহানি’ গেয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছলেন তিনি। নানা অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার ডাক আসতে লাগল। কিন্তু কিছু বছরের মধ্যেই ফের রানাঘাটে রানু। গায়িকার এই ভিডিয়ো দেখে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ওঠে হাসির রোল, ট্রোল এবং মিমের বন্যা। তবে রানু মণ্ডলকে নিয়ে সরব একাংশের নেটিজেন। ওঁনার মতো একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা বলে নেটিজেনের একাংশ দাবি করেন, এহেন কুরুচিকর ট্রোলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা।