রবিবার নিজের দ্বিতীয় সন্তানকে স্বাগত জানিয়েছেন সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খান। তবে এখনও জানা যায়নি পতৌদি পরিবারের খুদে সদস্যের নাম। প্রথম সন্তানের নামকরণের জেরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সইফিনাকে। সে সময় তুরস্কের স্বৈরাচারী শাসক তৈমুরের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ায় বেজায় কটাক্ষের মুখে পড়েন এই তারকা দম্পতি। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় করিনা ভাবী সন্তানের নামকরণ প্রসঙ্গে জানান, ‘ আমি ও সইফ দুজনেই এ সম্পর্কে কোনও চিন্তা ভাবনা করিনি। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নামকরণ ফেলে রাখব, তার পর সকলকে চমকে দেব’। ওয়াট উওমেন ওয়ান্ট-এর এক এপিসোডে করিনা এ কথা বলেন।তৈমুরের নাম নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েই নাম পালটে ফেলবার কথাও ভেবেছিলাম সইফ। করিনার জোরাজুরিতেই মূলত পিছিয়ে আসেন অভিনেতা। এই সম্পর্কে সইফ মুম্বই মিররকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান যে, ‘তৈমুরের নাম ঘোষণার সময় একটি সাফাই বিবৃতি জুড়ে দেওয়া উচিত ছিল আমার। ঠিক যেমন সিনেমায় হয়ে থাকে, যেমন- জীবিত বা মৃত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সদৃশতা, সম্পূর্ণ রূপে কাকতলীয়। এমন কিছু ব্যক্তি ছিল যাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু আমি মনে করি মধ্যযুগের ইতিহাসের উদাহরণ টেনে এনে কোনও কিছুকে বিচার করা অত্যন্ত হাস্যকর এবং অনেকেই আমার পক্ষে, আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে আমরা ডানপন্থী সমাজে বাস করি, এ কারণে আমি খানিকটা আশ্বস্ত। আর তা ছাড়াও, ভারত এখনও উদার ও তার জনগনও উর্বর মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনা সম্পন্ন।’বহু বলিউড তারকাও নাকি করিনাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন নাম পালটে ফেলবার। সেই তারকাদের নাম না করেই করিনা সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যা হয়ে গিয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে। সেই ব্যক্তির নাম নিতে চাই না। তবে সেই মুহূর্তেই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমার সন্তানের যে রকম ইচ্ছে নাম রাখব। ততক্ষণ পর্যন্ত আমার যায় আসে না, যতক্ষণ আমার সন্তান ভালো আছে। আমরা তাতেই খুশি। যে যা খুশি বলুক, যে ভাবে ইচ্ছে ট্রোল করুক, আমি পাত্তা দেব না’।তৈমুরের জন্মের সময়ই ছেলের নাম হিসাবে সইফের সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিল ফয়জ। ফয়জ (Faiz) আরবি শব্দ, এই নামের অর্থ হল সফল এবং বিজয়ী। এবার হয়ত তৈমুরের ছোটভাইয়ের নাম হিসাবে নিজের প্রথম পছন্দকেই বেছে নেবেন সইফ। এই খুদে অতিথির নাম কী হবে এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন!