জীবন💝 সত্যি বড় অনিশ্চিত। সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র অকাল মৃত্যু ফের একবার সেই জ✃িনিসটাই প্রমাণ করে দেখিয়েদিল। কে জানত ৫৩ বছর বয়সী এই গায়ক মঙ্গলবার শেষবারের মতো মঞ্চে উঠছেন। দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে সেভাবে পুরস্কার কপালে জোটেনি, তবে কুছ পরোয়া ছিল না তাঁর। 'ফ্যানেদের ভালোবাসাই আমার পুরস্কার' বিশ্বাসী ছিলেন কেকে।
🍸মঙ্গলবার ♎নজরুল মঞ্চের উপচে ভরা ভিড়ে কেকে গাইছেন, ‘আঁখো মে তেরি আজব সি আজব সি আদায়ে হ্যায়…’, তাঁর সঙ্গে গুনগুন করছে গোটা অডিটোরিয়াম। তখনও জানেন না সামনেই মৃত্যু অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাইতে গাইতেই হিন্দিতে বলে উঠলেন, ‘হায়… মর যাউঁ এহি পে’ (নে হচ্ছে এখানেই মরে যাই)।
যদিও তাঁর এই লাইনটা ছিল একান্তভাবে মহিলা ভক্তদের উদ্দেশে ছুড়ে দেওয়া💟। তবে নিয়তির আজব খেলা বোধহয় এটাকেই বলে! কেকে-র শেষদিনের অনুষ্ঠানের এই মুহূর্ত এখন হু হু করে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ꦕএটা দেখে চোখের জল আটকে রাখা বেশ কঠিন!
এদিন সন্ধ্যা ৬.৪৫ নাগꦅাদ নজরুল মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন কেকে। মোট✤ ২০টি গান গাইবেন বলে তালিকাও প্রস্তুত করেছিলেন। শেষ পারফরম্যান্সের জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন যে গানের তালিকা, সেটিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
‘তꦕু আশিকি হ্যায়’ দিয়ে শুরু, এরপর ‘ক্যায়া মুঝে প্যায়ার হ্যায়’, ‘দিল ইবাদত’,'মেরে বিন🦄া', 'লবো কো লবো সে', একেরপর এক সুপারহিট গান গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করলেন কেকে।
তালিকার শেষ গান ছিল ‘পল’, ভালোবাসার সেই মুহূর্তই যেন সঙ্গে থেকেꦕ গেল। গান গাইতে গাইতেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন কেকে। তবে তাঁর সৃষ্টিরা অমর, এমন হৃদয়বিদারক গলা নিয়ে ভাঙা প্রেমিক মনের যন্ত্রণা ব্যক্ত করার ক্ষমতা ক'জন গায়কের আছে? কথায় বলে শিল্পীর মৃত্যু হয় না, তবুও সবার মনেꦰই প্রশ্ন, আরেকটু অপেক্ষা করা যেত না? ‘ছোটিসি জিন্দেগি’-র হিসাবনিকাশ চুকিয়ে পরপারের যাত্রাটা বড্ড তাড়াতাড়ি সেরে ফেললেন কেকে!