নব্বইয়ের দশকে বলিপাড়া💯র পরিচিত মুখ ছিলেন শিবা আকাশদীপ। সলমন খান, অক্ষয় কুমারদের মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে অনস্ক্রিনে রোম্যান্স করেছেন এই সুন্দরী। সলমনের সঙ্গে ‘সূর্যবংশী’, অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘মিস্টার বন্ড’-এর মতো ছবিতে দেখা মিলেছিল তাঁর।
এরপর ধীরে ধীরে লাইমলাইট থেকে গায়েব হয়ে যান তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নব্বইয়ের দশকের বলিউড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন সলমন-অক্ষয়ের নায়িকা। বছরের পর বছর ধরে প্রযোজকদের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা তুলে ধরেছেন। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া 🦩এক সাক্ষাৎকারে শিবা বলেন, এর আগে প্রযোজকরা অভিনেত্রী🧸দের এমন চুক্তিতে স্বাক্ষর করাতেন যাতে বলা হত যে তিনি বিয়ে করতে পারবেন না বা গর্ভবতী হতে পারবেন না।
শিবা সেইসময়কার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, ‘অনেক কিছু বদলে গেছে। এখন বিবাহিত অভিনেত্রীরা প্রথমসারির অভিনেতাদের সাথে ছবি করছেন। আগে বয়ফ্রেন💝্ড থাকলে আমরা সম্পর্ক নিয়ে ভয় পেতাম, পাছে সিনেমা পাই না। সে সময় নায়িকাদের সিঙ্গেল হতে হতো। দর্শক আপনাকে আপনার গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ༺দেখবে নাকি অন্য কিছু, আমি জানি না’।
প্রযোজকদের 'বিপজ্জনক' চুক্তি
শিবা বলেন, ‘সেই সময়ে, এটি নিষিদ্ধ ছিল। এটা একজন বিবা꧋হিত মহিলার জন্য কেরিয়ার শেষ। ১০০% প্যাকআপ হবেই। এবং যদি বয়ফ্রেন্ড থাকে তবে অনেক গুজব থাকবে। প্রযো♒জকরা আপনাকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বলতেন যে আপনি বিয়ে করতে পারবেন না, গর্ভবতী হতে পারবেন না। তখন খুব বিপজ্জনক চুক্তি সই করানো হবে। আমি যদি সাইফের সঙ্গে পর্দায় রোমান্স করি, পর্দার বাইরে, আমি অন্য কারও সঙ্গে রোমান্স করছি এটা চলতে পারবে না।’
১৯৯১ সালে সুনীল দত্ত পরিচালিত 'ইয়ে আগ কব বুঝেগি' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শিবা। এতে আরও অভিনয়꧃ করেছেন সুনীল ও রেখা। তিনি নাচনেওয়ালে গানেওয়ালে (১৯৯১), সূর্যবংশী (১৯৯২), হাম হ্যায় কামাল কে (১৯৯৩), প্যায়ার কা রোগ (১৯৯৪), সুরক্ষা (১৯৯৫), কালিয়া (১৯৯৭), মিস ৪২০ (১৯৯৮), কালা সাম্রাজ্য (১৯৯৯), ঘাত (২০০০), এক অর জং (২০০১), মেরি প্রতিজ্ঞা (২০০২) এবং দম (২০০৩) ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তাকে সর্বশেষ রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি (২০২৩) ছবিতে মোনা সেনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল।
মিস ৪২০ ছবির শ্যুটিং-এর সময়ই পরিচালক আকাশদীপে💃র প্রেমে পড়েন শিবা। এবং সাত মাস প্রেমের পরই ১৯৯৬ সালে বিবাহবন্🐼ধনে আবদ্ধ হন দুজনে।