সারেগামাপা-র সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহ মোটে ভালো কাটলো না যুগল কিশোরের! শুক্রবারের এপিসোডে নব্বইয়ের হিট গান গাইতে গিয়ে খেই হারালো ইমন ও রাঘবের টিমের এই সদস্য। যুগলের পাহাড়িয়া মেঠো সুর শুরু থেকেই বিচারক-দর্শকদের মন জিতেছে। কিন্তু এইদিন ডর ছবির সুপারহিট গান ‘তু হ্যায় মেরি কিরণ’ গেয়ে কপালে জুটল ভর্ৎসনা! আরও পড়ুন-‘ম্যানিপুলেশন দিয়ে শিল্প হবে না…’, রুনার গানে খুশি নন ইন্দ্রদীপ-ইমনরা, কী ঘಌটেছে?
যুগলের গানে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত বিচারক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। তিনি কড়া ভাষায় জানান, ‘যে গানটা গাইলে তাতে কোনও ইনভলভমেন্ট ছিল না। গাইতে হয় গাইছো, গানটা যে এতগুলো লোক শুনছে… হয়ত তিন মিনিট, হয়ত চার মিনিট, কিন্তু সেই চার মিনিটটাই জরুরি। আমি সুরে গেলাম না, কোনও কিছুতেই গেলাম না। যদি তুমি মনটাই না দা⛦ও…তারপর তো আসবে কথা, পজ, সুর। তোমার গানে মন ছিল না’।
যুগলের পারফরম্যান্স শেষে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেননি ইমনও। তিনিও নিজের টিমের প্রতিযোগিকে কড়া ভাষায় বলেন, ‘আমারও মনে হয়েছে, এই গানে তোমার অংশগ্রহণ কম ছিল। আর তোমার ইনভলভমেন্ট কম ছিল বলেই, কোথাউ গিয়ে আমাদেরও ভালোবাসাটা কম বেরিয়েছে। যখন তুমি মঞ্চটা পেয়েছ🦩ো, এটা তো সবাই পায় না। এই মঞ্চটাকে সম্মান করার দায়িত্ব তোমার’।
শান্তনু মৈত্র জানান, অনেক গানে অতিরিক্ত মডিলিউশনের দরকার পড়ে 🌳না। বরং গলা খ𒉰ুলে গাইবার প্রয়োজন পড়ে। এরপর জাভেদ আলি গেয়ে যুগলের ভুল বুঝিয়ে দেন। এরপর উদাহরণ দিয়ে জাভেদ আলি বলেন, গায়েকির ক্ষেত্রে লো-নোট মজবুত হওয়াটা খুব জরুরি।
নেতিবꦡাচক মন্তব্যের প্রতিফলন হয় যুগলের স্কোরেও। সব মিলিয়ে মাত্র ২৩ নম্বর নিয়⛦েই ক্ষান্ত থাকতে হয় যুগলকে। ইন্দ্রদীপ-কৌশিকির টিম ৭, জাভেদ-জোজো এবং শান্তনু-অন্তরা যথাক্রমে ৮ করে নম্বর দেন যুগলকে। শনিবারের এপিসোডে সবচেয়ে কম নম্বর আসে যুগলের ঝুলিতে।
রবিবারের এপিসোডে আশ্চর্যজনকভাবে ২৪ নম্বর পায় অঙ্কনা। তবে উনিশবিশের ফারাকে ডেঞ্জার জোন থেকে রেহ♍াই পায় ঘাটালের🌌 কন্যে। আপতত এলিমিনেশনের খাড়া ঝুলছে যুগলের শিওরে।
আরও পড়ুন-ছোট🌺 থেকেই দু-চোখে ভালো দেখতে পান না! দিবাকরের জীবনের চরম সত্যি শুনে চোখ জল সবার
সময় যত গড়াচ্ছে ততই কঠিন হচ্ছে সারেগামাপা-র মোকাবিলা। এই বছর লড়াই শুধু প্রতꦑিযোগিদের মধ্যে নয়, লড়াই জমে উঠেছে বিচারকদের মধ্যেও। কার টিমের প্রতিযোগির মাথায় উঠবে সেরার মুকুট সেইদিকেও নজর সকলের। রববিবার গুলজার স্পেশ্যাল এপিসোডে জমে উঠেছিল টক্কর। তবে হিরো অফ দ্য উইকের খেতাব জিতে নিয়েছে দিবাকর।