পরকীয়া, গার্হস্থ্য় হিংসা দেখিয়েও রক্ষে নেই! মাত্র ৩ মাসেই জি বাংলার পর্দা থেকে বিদায় নিচ্ছে ‘কাজল নদীর জলে’। হ্যাঁ, গল্প নয় সত্যি! মৈনাক ভৌমিক, অরুণিমা হালদার এবং অনিন্দ্য চট্টোপাধ্য়ায় অভিনীত এই মেগা অক্টোবরের শেষ দিনেই ইতি টানল কাহিনিতে। চমকে যাওয়ার মতো এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন স্বয়ং গল্পের নায়ক ম🐟ৈনাক।
পরিণীতা কোন স্লটে আসছে সেই নিয়ে জল্পনার শেষ ছিল না। জগদ্ধাত্রী বন্ধ হবে কিনা, সেই আলোচনার মাঝে দুম করে জি বাংলার দুপুরের স্লটের এই মেগা সিরিয়ালের সফর শেষ হল। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণিমা ও অনিন্দ্যর সঙ্গে শ্যুটিং-এর ফাঁকে তোলা কিছু ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। সঙ্গে লেখেন, ‘আজ শেষ দিন, এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি, কিন্𒁃তু সব কিছু তো আমাদের হাতে থাকে না, এই ক’দিন আপনাদের থেকে যা ভালোবাসা পেয়েছি, সেটা আমাদের সম্𓂃পদ হয়ে থাকবে…. সকলে ভালো থাকবেন'।
মৈনাকের পোস্টে একজন জানতে চান, ‘মানেটা কী?’ অভিনেতার জবাব, ‘আমাদের গল্পটি ফুরালো,নটে গাছটি মুরালো’। আফসোসের সুরে এক ভক্ত লেখেন, ‘আমার প্রিয় জুটি কঙ্কা আর সমুজ্জ্বলকে খুব মিস করব, আবারও তোমাদের একসঙ্গে দেখতে চাই’। এখনও পর্যন্ত ৮০টা এপিসোডও টেলিকাস্ট হয়নꦛি এই মেগার। তবে আজকাল ২-৩ মাসেই মেগা সিরিয়াল বন্ধ হওয়াটা চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা নয়, টিআরপিত সুবিধা করে উঠতে না-পারলেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে চ্যানেল।
আরও পড়ুন-জন্ডিসে কাবু, অসুস্ꦫথ শরীরেই শ্যুটিং চালিয়ে🌳 যাচ্ছেন ‘কাজল নদীর জলে’র কঙ্কা, কেন?
দিন ১০ আগে জানা গিয়েছিল কাজল নদীর জলের লিড নায়িকা অরুণিমা হালদার জন্ডিসে আক্রান্ত। কিন্তু অসুস্থতা সত্ত্বেও শ্যুটিং বন্ধ রাখেননি অভিনেত্রী। বিয়ের পর কঙ্কা আর অর্জুনের মধ্যেকার সমস্যা ক্রমেই বড় আকার ধারণ 🦄করছিল, ওদিকে কঙ্কার হয়ে প্রতিবাদী রূপ নেয় সমুজ্বল। এক নারীকে নিয়ে দুই বন্ধুর টানাপোড়েনের এই গল্প কাজল নদীর জলে।
দুপুরের স্লটে কাজল নদীর জলে এবং নীল-শ্যামোপ্তীর ‘অমর সঙ্গী’ সেভাব দর্শক টানতে পারেনি। এক কথায় দুটো মেগাই ডাহা ফ্লপ, সেই থেকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিল চ্যানেল। টেলিপাড়ায় জোর জল্পনা সন্ধ্যে ৬টার স্লট থেকে সরানো হতে পারে ‘পুবের ময়না’কে। সেই জায়গা নিতে পারে নিম ফুলের মধু। কারণ রাত ৮টায় ‘পরিণীতা’ কিংবা ‘মিত্তির বাড়ি’র আসার সম্ভাবনা প্রবল। সব মিলিয়ে নভেম্বরে জি বাং🉐লায় বড়সড় রদবদল হবে তা স্পষ্ট।