পার্লারে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়ার পরেও কী চুলে জেল্লা আসছে না? দামি দামি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার সবকিছুই ফেল হয়ে গেছে? তাহলে এবার ভরসা কর🍒ুন ঘরোয়া টোটকার ওপর। ফ্রিজে রাখা ডিমকে কাজে লাগিয়েই আপনি পেয়ে যান সিল্কি এবং ঘন চুল।
২০১৭ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি -তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ডিমের কুসুম দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজ উপাদান চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ডিমে থা🧸কা প্রোটিন চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ চুলের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিও ঘটায়। ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে মশ্চারাইজড এবং চ🎀কচকে করে রাখে।
(আরও পড়ুন: নতুন বছর শুরুর ১০৩ দিনেই মারা গিয়েছে ৪৭টি ব♉াঘ, রিপোর্টে চাঞ্চল্য)
ডিমের মাস্ক তৈরি:
একটি বাটিতে একটি বা দুটি ডিম ভেঙে রাখুন। আপনার চুলের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করবে আপনি কটা ডিম নেবেন। এরপর এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল যোগ করুন তাতে। অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল চুলের পুষ্টি যোগায়। এবার দ🅺িয়ে দিন এক টেবিল চামচ মধু। মধু চুলকে অতিরিক্ত আদ্রতা দেয় এবং মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে।
ডিমের মাস্ক ব্যবহার:
চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত মাস্ক লাগান একটি ব্রাশের সাহায্যে। ব্রাশ না থাকলে আঙুলের ডগা দিয়েও লাগাতে পারেন। মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে মাথায় আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল উন্নত হবে। মাস্ক শুকিয়ে গেলে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রাখুন এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুꦺ🥂ন।
(আরও পড়ুন: নাক দিয়ে গলায় 🤪ঢুকে বুকে আটকালো আর🌠শোলা, ঘুম ভাঙতেই বিপাকে চিনা ব্যক্তি)
আধঘন্টা পর শাওয়ার ক্যাপ খুলে ভালো করে মাথা ধুয়ে দিন প্রথমে। মনে রাখবেন গরম জল একেবারেই ব্যবহার করব🔴েন না। মাথা🌳 ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার পর হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং একেবারে শেষে ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। এইভাবে ডিমের মাস্ক ব্যবহার করে চুলকে মসৃণ করে তুলুন সহজে।
প্রসঙ্গত, ভালো ফল পেতে হলে আপনি ডিমের সঙ্গে গ্রিন টি, দই, কলা, অ্যাভোকাডো মিশিয়ে মাথায় হেয়ার মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিক্ষেত্রেই আপনার চুল আগের থেকে হয়ে উঠব൩ে নরম এবং ফুরফুরে।