চল্লিশে চালশে! বয🔯়স বাড়ার সঙ্গে চোখের সমস্যা দেখা দেওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। চল্লিশের কোঠায় পা দিলেই অনেকের চোখে চশমা লাগতে শুরু করে। কেউ আবার ছানির সমস্যায় ভোগেন। ছানি হলো চোখের লেন্সের স্বচ্ছতা হারিয়ে যাওয়ার একটি অবস্থা। এটি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, ঝাপসা দেখা, আলোক প্রতিফলন এবং রঙিন দৃষ্টিতে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে ছানি দূরীকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই উদ্যোগের অধীনে আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পঁয়তাল্লিশ বছরের বেশি বয়সি ছানিতে কষ্ট পাওয়া মানুষদের খুঁজꦉে বের করবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্যাম্প করে তাঁদের ছানি কাটা হবে। চশমা দেওয়া হবে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অন্ধত্ব দূর করা।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, রাজ্যে অন্তত ১.৯ লক্ষ প্রবীণ নাগরিক ছানির সমস্যায় ভুগছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এই প্রবীণ নাগরিকদের ছানি কাটানো সম্ভবꦑ হবে 🎃এবং তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। এই উদ্যোগের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ছানি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো। আশা কর্মীদের মাধ্যমে ছানি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হবে। তারা ছানির লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে মানুষকে জানাবেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ১০ জানু♒য়ারি থেকে রাজ্যের সব পুরসভা, পঞ্চায়েত এলাকায় নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন আশা কর্মীরা। কারও ছানির সমস্যা থাকলে তাঁদের নাম, ঠিকান🥂া জোগাড় করে জেলা, ব্লক স্বাস্থ্য কর্তা অথবা পুরসভায় জানাচ্ছেন। ক্যাম্প করে ওই ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছানি কাটা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। ছানি কাটার সঙ্গে রোগীদের চশমা দেওয়া হবে।
এস এস কে এম, রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অফꦅথালমোলজির মতো বিশেষজ্ঞ কেন্দ্রকে যুক্ত করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে সব জেলা, ব্লক, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতালকে। এমনকী বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং বাণিজ্যিক সংস্থার কাছেও আবেদন করা হয়েছে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার 🙈জন্য। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। মূলত জেলাশাসকদের তদারকিতে এই কাজ শুরু করতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।