অ্যাজমা বা হাঁপানির কারণে শ্বাসকষ্ট অনেকের সারা জীবনের সমস্যা৷ ওষুধ হিসেবে নিয়মিত কর্টিসন নিলেও পার্শ্ব-প্রতি𓆉ক্রিয়ার ধাক্কা সামলাতে হয়৷ একেবারে নতুন ধরনের চিকিৎসা শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে রা🉐খতে সাহায্য করছে৷
সন্তানদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে হাঁপিয়ে না উঠে বলের পিছনে ছোটা ডিয়র্ক ব্যোমের জন্য বেশ কঠিন ছিল৷ তাঁর বড়ই শ্বাসকষ্ট হত৷ নিজের সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কখনও অ্যাজমা অ্যাটাক হয়নি, যার ফলে মুখ নীল হয়ে যায়৷ কিন্তু সারাক্ষণ ♓নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় চাপ বোধ করতাম৷ মনে হত, যেন ফুসফুসের উপর কিছু একটা চেপে রয়েছে৷ ফলে অনেক শক্তি দিয়ে বাতাস নিতে হত৷'
ভাগ্য ভালো যে ৪২ বছর বয়সি মানুষটি আবার খেলাধুলো করতে পারছেন৷ তাঁর কঠিন অ্যালার্জিক অ্যাজমা রয়েছে, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে৷ কর্টিসন ওওষুধের ডোজ বাড়িয়েও লাভ হয়নি৷
বহুকাল ধরে ডাক্তাররা কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো অ্যাজমার উপসর্গের চিকিৎসা করে প্রাণঘাতী শ্বাসকষ্টের আশঙ্কা দূর করার চেষ্টা চা🦩লিয়ে গিয়েছেন৷ কিন্তু এক বিশেষজ্ঞ চিকৎসকের মতে, বর্তমানে এমন মনোভাব পুরোপুরি সেকেলে হয়ে গিয়েছে৷ অ্যাজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রো. মারেক লমাচ বলেন, ‘আধুনিক থেরাপির আওতায় আমরা রোগীদের এমন ওষুধꦦ দেই, যা সমস্যা সৃষ্টি হতেই দেয় না৷ অর্থাৎ রোগীকে নিয়মিত যত কম ডোজ সম্ভব ওষুধ খেতে হলেও তার আর শ্বাসকষ্ট হয় না৷ তাকে হাসপাতালে যেতে হয় না, একেবারে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারে৷'
ডিয়র্ক ব্যোমেকে তথাকথিত ‘বায়োলজিক্স' ওষুধ খেতে হচ্ছে, যা আসলে জৈব উপায়ে সৃষ্টি করা অ্যান্টিবডি৷ সেই চিকিৎসায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে৷ শুধু বছরে দুই বার তাঁকে চেকআপ করাতে হয়৷ ডাক্তারি পরিভাষায় ডিয়র্কের শ্বাসকষ্ট ‘আপার নর্মাল রে𝔉ঞ্জ'-এ রয়েছে৷﷽ পালমোনোলজিস্ট হিসেবে ড. সসেমিরা হাইন বলেন, ‘সব মিলিয়ে খুবই ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে৷ ‘ক্লিনিকাল পিকচার' অর্থাৎ তাঁর সার্বিক অবস্থা খুবই ভালো৷ ফলে নানা সম্ভাব্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সর্বস্ব কর্টিসন ওষুধ দিতে হয়নি৷'
ক্রনিক অ্যাজমার কারণে ডিয়র্ক ব্যোমের ফুসফুসের ক্রিয়া কিছুটা সীমিত হলেও বর্তমানে তিনি সুস্থ বোধ করছেন৷ তাঁর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে৷ অথচ নতুন থেরাপি শুরু হবার আগে জীবন অনেক কঠিন ছিল৷ স্প্রে অথবা ট্যাবলেটের আকারে সব সময়ে কর্টিসন নিতে হত৷ তা সত্ত্বেও তিনি প্রায় প্রতিদিন অসুস্থ বোধ করতেন৷ ডিয়র্ক বলেন, ‘নান꧒ারকম পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণে ভালো বোধ করতাম না৷ হাত কাঁপত, হাই ডোজের কর্টিসনের কারণে চঞ্চল থাকতাম৷ তা সত্ত্বেও উন্নতি হয় নি৷'
কর্টিসন প্রয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদী থেরাপি যে উপকারের বদলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপকার করে, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও ডিয়র্ক ব্যোমের ডাক্তার শ্বাসনালীর ক্রনিক ইনফ্লামেশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্টিসনকে অপরিহার্য মনে করছেন৷ অবশ্যই বায়োলজিক্স ওষুধের পাশাপাশি সেটি নিতে হচ্ছে৷ এভাবে প্রত্যেক রোগীর জন্য সুনির্দিষ্ট থেরাপির ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ প্রো. মারেক লমাচ বলেন, ‘আজকাল স্পষ্ট বলতে হয় কার কী ধরনের অ্যাস্থমা রয়েছে৷ অ্যালার্জি আছে কী নেই৷ অথবা কারও নির্দিষ্ট বায়োমার্কার রয়েছে, অতীতেও রোগের ইতিহাস রয়েছে৷ বার বার হাসপাতালে যেতে হয়েছে৷ মা বা সন্তানদের 🃏কোন রোগ ছিল বা আছে৷ বর্তমানে সেই সব তথ্য একত্র করে রোগীর জন্য সুনির্দিষ্ট থেরাপি স্থির করতে হয়৷ সেই থেরাপি অত্যন্ত কার্যকর৷''
ডির্ক ব্যোমে নতুন থেরাপিতে ইতিবাচক সাড়া দি🍸চ্ছেন৷ মাসে নি🍸জেই তিনি দুটি করে ইঞ্জেকশন নেন৷ তখন থেকে শরীর-স্বাস্থ্যের ক্রমাগত উন্নতি হয়ে চলেছে৷
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App🌜 ডাউনলোড করার লিঙ্ক )
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতি🐻বেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাই𓄧মস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)