চুলের স্বাস্থ্যর জন্য কলা খুবই উপকারী। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা কেবল চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা নয়, এটি চুল ঝলমলেও করে। চুল আরও ভালো রাখতে এই কয়েকটি জ✅িনিস কলার সঙ্গে মিশিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক। এই ঘরোয়া হেয়ার মাস্কের পুষ্টিগুণে চুল হবে আরও ঘন, কালো, ঝলমলে ও𒐪 মজবুত।
চুলের জন্য কলা কীভাবে উপকারী?
কলায় সিলিকা নামক খনিজ রয়েছে যা শরীরকে কোলাজেন সংশ্লেষণে সাহায্য করে। এতে চুল ঘন ও মজবুত হয়। কলা চুলে পুষ্টি যোগায়, আর্দ্রতা প্রদান করে। এতে চুল ঝলমলে হয়। কলায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্🧜টি উপাদান রয়েছে যা চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে। এছাড়া এটি মাথার ত্বকও সুস্থ রাখে। পট🐎াসিয়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং চুলের ফলিকলগুলিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এর ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং চুল পড়ার সমস্যাও অনেকাংশে কমে যায়।
চুলের জন্য কলার ২টি হেয়ার মাস্ক
কলা এবং অ্যাভোকাডো হেয়ার মাস্ক: এই মাস্ক ব্যবহারে চুল বৃদ্ধি পায়, চুল মজবুত, ঘন ও কালো হয়। অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত ভিটামিন, বায়োটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট চুল নরম ও রেশমের মতো রাখে। কলা এবং অ্যাভোকাডো হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে প্রথমেই একটি পাকা কলা এবং একটি অ্যাভোকাডো নিন। একটি মিক্সারে কলা এবং অ্যাভোকাডো ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে তারপর হালকা গ🐻রম জল দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল যদি খুব নিস♔্তেজ, শুষ্ক এবং প্রাণহীন হয় তাহলে এই প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করুন।
কলা এবং নারকেল তেলের হেয়ার মাস্ক: নারকেল তেল চুলের জন্য খুবই উপকারি। নারকেল তেল কলার সঙ্গে মিশিয়ে আপনার চুলে ব্যবহার করুন, এতে দারুণ উপকার পাবেন। একটি পাকা কলার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এটি চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল🙈 ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে আর্দ্র রাখবে এবং চট করে চুলে জট হতে দেবে না।